ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর সংখ্যাটি নেহাত কম নয়। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিংয়ের নাম। অন্যদিকে প্রাক্তন সতীর্থদের মধ্যে বীরেন্দ্র সেহবাগ এবং গৌতম গম্ভীরকেও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। এ বার আবার ক্যাপ্টেন কুলের বিরুদ্ধে সরব হলেন সেহবাগ। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে এসে নজফগড়ের নবাব জানিয়েছেন, ধোনির কারণে একটা সময় একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা পর্যন্ত ভেবে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু তা আটকে দেন সচিন তেন্ডুলকর।
টেস্টে ভারতের হয়ে দুবার ত্রিশতরান করার পাশাপাশি পুরুষদের ওডিআই ক্রিকেটে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে দ্বিশতরান করেছিলেন সেহবাগ। পদমজিৎ শেরাওয়াতের ইউটিউব চ্যানেলে এসে তিনি বলেন, “২০০৭-০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ ব্যাংক ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচে আমি খেলেছিলাম। এর পর এমএস ধোনি আমাকে দল থেকে বাদ দেন। বেশ কিছুদিনের জন্য আমাকে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল। এই সময় আমার মনে হয়েছিল যে যদি প্রথম একাদশের অংশই না হতে পারি, তা হলে আমার ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার কোনও মানে নেই।”
এরপর ২০১১ সালে ভারতের দ্বিতীয় ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন বীরু। ধোনির দিকে আঙুল তুলে সেই তিনিই জানিয়েছেন, ২০০৭-০৮ সালের সিবি সিরিজে দল থেকে বাদ পড়ে তিনি এক প্রকার মনস্থির করেই ফেলেছিলেন নিজের অবসরের বিষয়ে। কিন্তু বাদ সাধেন স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকর। সেহবাগ জানিয়েছেন, এই সময় তিনি সচিনের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন পরামর্শ চাইতে। তখন মাস্টার ব্লাস্টারই তাঁকে নতুন করে উজ্জীবিত করেন। যার ফলে ফিরে এসেছিল তাঁর হারানো বিশ্বাস।
সেহবাগের কথায়, “আমি তেন্ডুলকরের কাছে গিয়ে বলেছিলাম, ‘আমি ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবছি’। তিনি বললেন, ‘না, আমিও ১৯৯৯-২০০০ সালে একই রকম একটা কঠিন সময় পার করেছিলাম। যখন আমার মনে হয়েছিল আমার ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু সেই সময়টা দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছিল। তাই তুমি যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছ সেটাও কেটে যাবে। আবেগপ্রবণ হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিও না। নিজেকে কিছুটা সময় দাও। এবং আরও এক-দুটো সিরিজ খেল। তারপর সিদ্ধান্ত নিও।'” বীরু আরও বলেন, “পরের সিরিজেই সুযোগ পাই আমি। এবং প্রচুর রানও করেছি। তারপর ২০১১ বিশ্বকাপ খেলেছিলাম এবং কাপও জিতেছি।”