ফুটবলে দেশের ১ নম্বর ক্লাব টুর্নামেন্ট আইএসএল। আর সেই টুর্নামেন্ট ঘিরেই চলতি বছরে শুরু হয়েছে জটিলতা। যা দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। নিয়ামক সংস্থা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন চায় দ্রুত আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত হোক আইএসএল। একই সঙ্গে কেটে যাক মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট ঘিরে এফএসডিএল-এর সঙ্গে সংঘাত।
এআইএফএফ এবং এফএসডিএলের টানাপোড়েন গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এআইএফএফ-এর খসড়া সংবিধানের উপর তাদের রায় সংরক্ষণ করে রেখেছে শীর্ষ আদালত। স্বভাবতই স্থগিত থাকা আইএসএল টুর্মামেন্টের জট কাটেনি। আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে এই মামলার শুনানি। আর সেই শুনানিতেই আইএসএল ক্লাবগুলির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরবেন এআইএফএফ-এর আইনজীবীরা।
সেই ২০১০ সালে আইএসএল আয়োজক এফএসডিএলের সঙ্গে এআইএফএফ-এর ১৫ বছরের এক মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট সই হয়েছিল। যেটি পুনর্নবীকরণ না হওয়ায় তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। যার জেরেই আইএসএল আয়োজক এফএসডিএল গত ১১ জুলাইতে ২০২৫-২৬ টুর্নামেন্ট আপাতত শুরু না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। যদিও লিগ স্থগিত রাখা হলেও ফেডারেশন কিন্তু ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে শুরুতে সুপার কাপ করার প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে যাবতীয় জটিলতা দ্রুত কেটে যাবে এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করা হয়।
মাস্টার্স রাইটস এগ্রিমেন্ট তথা এমআরএ নতুন করে এখনও স্বাক্ষরিত না হওয়ায়, আইএসএল টুর্নামেন্টে খেলা ভারতীয়দের পাশাপাশি বিদেশি ফুটবলারও এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলি মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অচলাবস্থা না কাটা পর্যন্ত, তাদের ফুটবল সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম স্থগিত রাখার। একই সঙ্গে ক্লাবের নথিভুক্ত ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের বেতনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ক্লাবগুলির এমন বেহাল দশাই শীর্ষ আদালতে আগামী সোমবারের শুনানি পর্বে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ামক সংস্থা এআইএফএফ। বৃহস্পতিবার তাদের এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত এক সিদ্ধান্তও তুলে ধরেছে এআইএফএফ। লেখা হয়েছে, “সকল পক্ষ একমত হয়েছে যে ২০২৫-২৬ আইএসএল মরশুম শুরু হতে দেরি হওয়ায়, আইএসএল ক্লাবগুলির উদ্বেগ এবং ফুটবলার সহ কোচ-সাপোর্ট স্টাফদের দুরবস্থা আগামী সপ্তাহে মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানানো হবে, যাতে আদালত বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে পারে”।
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে এই বিষয়টি তুলে ধরার আগে আইএসএল-এর ক্লাবগুলির কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এআইএফএফ-এর কর্তারা। ফেডারেশন সূত্রে খবর, শীর্ষ আদালত চাইলে তারা লিখিতভাবেও আবেদন করবেন। নিয়ামক সংস্থার কর্তাদের বক্তব্য, যেহেতু আদালত রায় সংরক্ষিত রেখেছে, তাই তাঁদের আইনজীবীরা শুরুতে বিষয়টি মৌখিকভাবে তুলে ধরবেন। আর আদালত যদি মনে করে আপিলের যোগ্যতা রয়েছে, তাহলে আবেদন লিখিত আকারেই দাখিল করা হবে । সেখানে তুলে ধরা হবে সংশ্লিষ্ট ক্লাব, তাদের ফুটবলার-কোচ-সাপোর্ট স্টাফদের বর্তমান পরিস্থিতি।