ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর এ দেশে আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ হলেও চূড়ান্ত হয়ে গেল লিও মেসির ভারত সফর। শুক্রবার, স্বাধীনতা দিবসের সকালেই জানা গিয়েছিল, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে আল নাসের এ দেশে এলেও সি আর সেভেন হয়ত আসবেন না। একই দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পাকা হয়ে গেল আরেক ফুটবল কিংবদন্তির এ দেশে আসা।
জানা যাচ্ছে, কলকাতা থেকেই ভারত সফর শুরু করবেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়কের এই সফরের আয়োজক শতদ্রু দত্ত এ দিন এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর তিলোত্তমায় পা রাখতে চলেছেন এল এম টেন। এর পর একে একে তিনি পাড়ি দেবেন আহমেদাবাদ, মুম্বই এবং নয়াদিল্লিতে। এই গোটা সফরটির নাম দেওয়া হয়েছে, GOAT Tour of India 2025’।
এর আগে ২০১১ সালে ভারত তথা ‘সিটি অব জয়’ -এ এসেছিলেন মেসি। যুবভারতীতে সে বার আর্জেন্টিনার জার্সিতে তিনি খেলেছিলেন ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে। ১৪ বছর পর ফের একবার এ দেশের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, আগামী প্রজন্মের ফুটবলারদের অনুপ্রাণিত করতেই ভারতে আসছেন লিও। যে কারণে দেশের ৪ টি শহরেই শিশুদের নিয়ে একটি করে মাস্টার ক্লাস আয়োজিত হবে মেসির উপস্থিতিতে। এর পর আগামী ১৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর শেষ হবে মেসির ভারত সফর।
সফরের আয়োজক শতদ্রু দত্ত শুক্রবার এ প্রসঙ্গে বলেন, “মেসির আসা নিশ্চিত হতেই আমি সামাজিক মাধ্যমে খবরটি জানিয়েছি। এ বার আগামী ২৮ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে কোনো দিনও মেসি নিজেই অফিসিয়াল পোস্টারসহ আসন্ন ভারত সফরের সমস্ত বিবরণ আর তার ছোট ছোট ভূমিকা পোস্ট করবেন।” উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুতেই মেসির বাবার সঙ্গে দেখা করে শতদ্রু দত্ত আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে এ দেশে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মেসি স্বয়ংই এ বিষয়ে আলোচনার জন্য শতদ্রুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নিজের বাড়িতে।
সেদিন প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে আলোচনা হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এর পর শুক্রবার শতদ্রু জানিয়েছেন, “আমি আমার পরিকল্পনাটি ব্যাখ্যা করেছিলাম। সেই সঙ্গে আমরা ঠিক কী করতে চাইছি তাও বিস্তারিতভাবে জানিয়েছিলাম। সব শুনে আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেসি।” এ দিকে শুধু লিও একা নন। ভারতে সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি ইন্টার মিয়ামির সতীর্থ রদ্রিগো ডি পল, লুইস সুয়ারেজ, জর্ডি আলবা এবং সের্জিও বুস্কেটসসহ আরও অনেককেই পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত আর কোনও নাম প্রকাশ করতে চাননি শতদ্রু দত্ত।