শুক্রবার এক নতুন মাইলফলক ছুঁলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি টানা ১২ বার লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর রেকর্ড ভেঙে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, যিনি টানা ১৭ বার স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ দিয়েছিলেন।
ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জানুয়ারি ১৯৬৬ থেকে মার্চ ১৯৭৭ এবং পরে জানুয়ারি ১৯৮০ থেকে তাঁর হত্যার দিন অক্টোবর ১৯৮৪ পর্যন্ত। তিনি মোট ১৬ বার ১৫ আগস্টে ভাষণ দেন, যার মধ্যে ১১টি ছিল টানা বছরের। জওহরলাল নেহরু ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল, লালকেল্লা থেকে মোট ১৭ বার ভাষণ দেন, যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড।
দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ১৯৬৪ এবং ১৯৬৫ সালে দুইবার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দেন। জরুরি অবস্থার পর মোরারজি দেশাই দুইবার অর্থাৎ ১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালে ভাষণ দেন।
চৌধুরী চরণ সিং ১৯৭৯ সালে একবারই ভাষণ দেন।
ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর রাজীব গান্ধী পাঁচবার স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ দেন। ভি.পি. সিং মাত্র একবার, ১৯৯০ সালে, ভাষণ দেন।
পিভি নরসিমা রাও টানা চার বছর, ১৯৯১সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ভাষণ দেন। এইচ.ডি. দেবেগৌড়া ১৯৯৬ সালে ও ইন্দর কুমার গুজরাল ১৯৯৭ সালে একবার করে ভাষণ দেন।
অটল বিহারি বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ছয়বার ভাষণ দেন।
মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত টানা ১০ বছর ভাষণ দেন।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর পূর্বসূরি মনমোহন সিং-এর রেকর্ড ভেঙে লালকেল্লা থেকে ১১তম টানা ভাষণ দেন। সেই বছরই তিনি স্বাধীনতা দিবসে সর্বকালের দীর্ঘতম ভাষণ দেন ৯৮ মিনিটের।প্রধানমন্ত্রী মোদির ১৫ আগস্টের ভাষণগুলোতে সাধারণত দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সরকারের সাফল্য, নতুন নীতি ও প্রকল্পের ঘোষণা থাকে।
২০২৪ সালের ভাষণে তিনি স্পষ্টভাবে “সেকুলার” ইউনিফর্ম সিভিল কোড প্রয়োগের আহ্বান জানান।। তিনি এক নির্বাচনের পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেছিলেন।