আগামিদিনে যুদ্ধের ধরন বদলাতে চলেছে, পূর্বাভাস যুদ্ধ বিশারদদের। ভবিষ্যতে যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্রের চেয়ে বড় হয়ে উঠতে পারে প্রযুক্তি। ভবিষ্যতের সেই প্রযুক্তি নির্ভর হামলা রুখতে এবার মিশন ‘সুদর্শন চক্র’ প্রকল্প ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার লালকেল্লা থেকে দেওয়া স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী, মিশন সুদর্শন চক্রের কথা ঘোষণা করেন। ২০৩৫ সালের মধ্যে এই মিশন সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, এই মিশন সুদর্শন চক্র থেমে থাকবে না, প্রতিনিয়ত তার আধুনীকিকরণ করা হবে।
প্রশ্ন হল মিশন সুদর্শন চক্র প্রকল্প কী?
লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেই প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলিকে সম্পূর্ণভাবে একটি নির্দিষ্ট সুরক্ষা কবচের আওতায় আনা হবে। এই সেক্টরগুলির মধ্যে শুধু সামরিক সেক্টর থাকবে তা নয়। থাকবে রেল, হাসপাতাল, বিমানবন্দর, সরকারি ভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানও। তবে এই সুরক্ষা নিয়মিত আরও বাড়ানো হবে এবং আধুনিক করে তোলা হবে। এই সুরক্ষা কবচ একদিকে যেমন যে কোনও ধরনের শক্তিশালী হামলা ঠেকাবে তেমনই দ্বিগুণ শক্তিতে শত্রুর উপরেও পাল্টা আঘাত হানবে। গোটা দেশের সুরক্ষাকে আরও আধুনিক, মজবুত ও শক্তিশালী করে তুলতেই এই মিশন সুদর্শন চক্র। প্রযুক্তিগত হামলা ঠেকানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর হবে এই মিশন।
যুদ্ধ বিশারদদের মতে, বর্তমানে শুধু যে সামরিক অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ হয় তা নয়। যুদ্ধ হয় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমেও। যা যে কোনও সময় বড় মাপের ক্ষতি করে দিতে পারে। সেই ক্ষতি রুখতেই আগাম সতর্কতা কেন্দ্রের মোদি সরকারের।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে আরও বলেছেন, কোনও সরকার দেশের সুরক্ষা নিয়ে উদাসীন হলে সমাজের উন্নতি ও অগ্রগতি হয় না। সবার আগে প্রয়োজন দেশ ও দেশবাসীর সুরক্ষা। প্রধানমন্ত্রী জানান, মহাভারত থেকে মিশন সুদর্শন চক্রের নাম বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মহাভারতে আমরা দেখেছি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়েই পাণ্ডবদের রক্ষা করেছিলেন। সুদর্শন চক্রের সাহায্যে কৃষ্ণ দিনের বেলায় রাতের অন্ধকার তৈরি করেছিলেন। সে কারণেই জয়দ্রথকে বধ করতে পেরেছিলেন অর্জুন। আমাদের এই মিশনও শত্রুদের বিরুদ্ধে একইভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এই সুদর্শন চক্র পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।