আলাস্কার বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জট না কাটলেও শুল্কযুদ্ধ থামানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিশ্চিতভাবেই ভারতের পক্ষে ইতিবাচক বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পরেই কি মানভঞ্জন হল ট্রাম্পের?
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়া ও তার সঙ্গে যে সব দেশ বাণিজ্য করে সেই সব দেশগুলির উপরে এখনই অতিরিক্ত শুল্ক চাপাচ্ছেন না। বিষয়টি তিনি ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করবেন। তাঁর এই মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
কূটনৈতিক মহলের অনুমান, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প শুল্ক নীতি নিয়ে কিছুটা নরম হয়েছেন।
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর অতিরিক্ত শুল্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর বিষয়টি নিয়ে তিনি অবশ্যই ভাববেন। কিন্তু এখনই তিনি কিছু ভাবছেন না। কারণ এখনই যদি দ্বিতীয় দফায় শুল্ক চাপানো হয় তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলির জন্য ধ্বংসাত্মক হবে।
তাঁর পরামর্শ উপেক্ষা করে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার কারণে দুই দফায় ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর সাফ কথা, ভারত এখনও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বজায় রখেছে। সে কারণেই ভারতের উপর আরও বেশি শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত।
কিন্তু পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সুর বদলে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এখনই অতিরিক্ত শুল্ক না চাপিয়ে অপেক্ষা করার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
তবে শুক্রবারের বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত যে হয়নি তা মেনে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, একাধিক বিষয়েই তাঁরা একমত হয়েছেন। তবে কিছু বিষয়ে তাঁরা ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি। যার মধ্যে কিছু অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠক পুরোপুরি সফল না হলেও অন্তত কিছুটা হলেও এগিয়েছে বলে ট্রাম্প দাবি করেছেন।