বিহারে ভোট চুরির এক নতুন ষড়যন্ত্র চলছে। ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের মাধ্যমে এই কাজ হচ্ছে। রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের নামে বহু ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তোলা হচ্ছে নতুন ভোটারদের নাম। এভাবেই চলছে ভোট চুরির খেলা। এর আগে দেশের লোকসভা নির্বাচন এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনেও এভাবেই ভোট চুরি হয়েছে। এসআইআর-এর নামে বিহারেও সেই কাজ চলছে। গোটা দেশ জেনে গিয়েছে, কীভাবে ভোট চুরি হয়েছে। এই ভোট চুরির কাজে জড়িত ছিল নির্বাচন কমিশন। রাহুল আরও বলেন, ভোট চুরির অভিযোগ করছেন বলে কমিশন তাঁর কাছে হলফনামা তলব করেছে। অথচ বিজেপি নেতারা যখন সেই একই কথা বলছেন তখন কমিশন নীরব দর্শক।
তবে বিহারের নির্বাচনে আর আমরা ভোট চুরি করতে দেব না। দেশের সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের অন্যতম অধিকার ভোটাধিকার। তাদের সেই অধিকার আমরা কোনওভাবেই কেড়ে নিতে দেব না।
রাহুল আরও বলেন, ২০২৪-এ মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনের আগে হওয়া সব সমীক্ষাতেই জানানো হয়েছিল, মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসছে। কিন্তু ফলাফল বেরোতে দেখা গেল, বিজেপি মহারাষ্ট্রে জিতে গেছে। রাহুলের দাবি, নির্বাচনের ঠিক আগেই এক কোটি নতুন ভোটারের নাম তোলা হয়েছিল। এই নতুন ভোটারদের ভোটে বাজিমাত করে বিজেপি। বিহারেও এসআইআরের নামে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে কমিশন। তবে ইন্ডিয়া ব্লকের সব রাজনৈতিক দলই কমিশনের এই কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
রবিবার বিহারের সাসারাম থেকে রাহুল গান্ধী তাঁর ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভোটের অধিকার যাত্রার সূচনা করেন। ভোট চুরি রুখতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ব্লক কমিশনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ শুরু করেছে তারই অঙ্গ হিসেবে এই ভোট অধিকার যাত্রা রাহুলের। এদিন যাত্রার শুরুতে রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদব। যাত্রা শুরুর আগে এক সমাবেশে রাহুল ভাষণ দেন। সেখানেই তিনি বলেন, তাঁর এই ভোটের অধিকার যাত্রা রাজ্যের ২০ টি জেলা দিয়ে যাবে। সংবিধান বাঁচানোর লক্ষ্যেই তিনি পথে নেমেছেন। ওই সভাতেই রাহুল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ তোলেন।
Leave a comment
Leave a comment