মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট তাদের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা রবিবার রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণা করেছেন। প্রশ্ন হল, একাধিক নামের মধ্য থেকে কেন রাধাকৃষ্ণণকেই বেছে নেওয়া হল?
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২০২৬ এ তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যেই তামিলনাড়ুর ভূমিপুত্র রাধাকৃষ্ণণকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের পদে রয়েছেন তিনি। ৬৮ বছরের রাধাকৃষ্ণণ এর আগে ঝাড়খণ্ডের এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তেলাঙ্গানার রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দায়িত্বও সামলেছেন।
২০২৩ সালে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম চার মাসেই তিনি রাজ্যের ২৪টি জেলায় ঘুরে প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন। রাধাকৃষ্ণণ কোয়েম্বাটুর লোকসভা থেকে দু’বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতিও ছিলেন তিনি।
তামিলনাড়ুর বিজেপির সভাপতি থাকাকালীন ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ৯৩ দিনে ১৯ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রথযাত্রা সম্পন্ন করেছিলেন। জঙ্গি দমন, দেশের প্রতিটি নদীর সংযুক্তিকরণ, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর মতো একাধিক দাবি আদায়ে তিনি এই রথযাত্রা করেছিলেন। দীর্ঘ ৪ দশকের রাজনৈতিক জীবনে তামিলনাড়ুর মানুষের কাছে রাধাকৃষ্ণণ একজন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ।
১৯৫৭ সালে তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে জন্ম রাধাকৃষ্ণনের। তিনি কোয়াম্বাটুরের চিদম্বরম কলেজ থেকে বিবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। খেলাধুলাতেও তুখোড় ছিলেন এই বিজেপি নেতা। তিনি কলেজের টেনিস প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন। দূরপাল্লার দৌড়বিদ হিসেবে তাঁর যথেষ্ট সুনাম ছিল। ক্রিকেট এবং ভলিবলেও তিনি তাঁর দক্ষতার ছাপ রেখেছেন।
উল্লেখ্য ২১ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়। সে কারণেই নতুন করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। ওইদিনই হবে ভোট গণনা। তবে জয় নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই এনডিএ শিবিরের। কারণ সংসদের দুই কক্ষের সদস্য সংখ্যা মিলিয়ে বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে গেলে ৩৯২ টি ভোট প্রয়োজন। কিন্তু এই মুহূর্তে এনডিএ শিবিরের হাতে রয়েছে ৪২৫ টি ভোট।