শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শেখ মুজিব থেকে আওয়ামী লীগের আর কোনও চিহ্ন রাখতে চায় না আজকের বাংলাদেশ। এমনকী বাংলাদেশের জনক বলে খ্যাত শেখ মুজিবের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েও মারধর খাওয়ার পাশাপাশি মামলার কোপে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার সেই বাংলাদেশেই পুড়িয়ে দেওয়া হল শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ সম্পর্কিত চার শতাধিক বই।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ওই সরকারের চিহ্ন মুছে ফেলা হলেও বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিতে ছিল শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কিছু বই। সোমবার কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে লাইব্রেরিতে খুঁজে প্রায় ৪০০-র বেশি বই বের করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এই সব বইয়ের মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’সহ আওয়ামী লীগ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের বই। কারা পুড়িয়ে ফেলল এত বই? রিপোর্ট অনুযায়ী এ সময় কলেজ শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীসহ একদল শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রশিবির হল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির ছাত্রশাখা আর বিএনপি-র ছাত্র সংগঠন হল ছাত্রদল। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামি হল মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী রাজনৈতিক দল।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সংবাদপ্রকাশ ডট কমের তথ্য অনুযায়ী বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধুর কিছু বই ছিল। গত ৫ অগস্টের পর ওই বইগুলো থাকার কথা না। স্যারদের সঙ্গেও শিক্ষার্থীরা জানতে চেয়েছে বইগুলো আছে কি না। তবে তারা বলেছিলেন বইগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরে লাইব্রেরিতে খুঁজে বইগুলো পাওয়া গেলে কলেজের সামনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
যদিও এভাবে বই পুড়িয়ে দেওয়া হলেও তা নিয়ে সেভাবে কোনও বিতর্কই তৈরি হয়নি মুহাম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশে। তবে শুধু বই কেন, তালিবানি শাসনের মতো মুজিব ও আওয়ামী লীগের কোনও স্মৃতিই আর সামনে রাখতে চায় না আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
Leave a comment
Leave a comment