স্কুল ভবনগুলির নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরনের গাফিলতি সহ্য করা হবে না। স্কুল ভবনগুলির কাঠামোগত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে এবং সুরক্ষা অডিটের মাধ্যমে দুর্বল হয়ে পড়া কাঠামো সনাক্ত করার জন্য প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সোমবার লোকসভায় এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
তিনি জানান, প্রতিটি স্কুল ভবনের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য ৭ অগস্ট একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় প্রতিটি স্কুল ভবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। যে সমস্ত স্কুল ভবন মেরামত করা হয়েছে সেগুলি সম্পূর্ণ নিরাপদ, এটা প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। যে সমস্ত স্কুল ভবনগুলি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে সেগুলি ব্যবহার না করে প্রয়োজনে অস্থায়ী কোনও জায়গায় স্কুল চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর দাবি, পড়ুয়াদের জীবন সুরক্ষিত রাখতে আগেও স্কুলগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্র একাধিক নির্দেশ জারি করেছে। কারণ পড়ুয়ারাই হল দেশের ভবিষ্যৎ। সবার আগে তাদের রক্ষা করতে হবে।
জুলাই মাসের শেষ দিকে রাজস্থানে একটি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ে ৭ পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্যই নতুন করে এই নির্দেশিকা বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই নির্দেশিকায় দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অসুরক্ষিত স্কুল ভবন নিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। অবিলম্বে স্কুল ভবনগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি স্কুলগুলির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নির্দেশিকা বাস্তবায়নের কথাও বলেছে শিক্ষামন্ত্রক। স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকায় স্কুলগুলিতে নিয়মিত নিরাপত্তা অডিট, কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পাঠানো কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুলগুলিতে নিয়মিত নিরাপত্তা নিরীক্ষণ বা অডিট করতে হবে। স্কুলের পরিকাঠামোগত নিরাপত্তা, অগ্নি নিরাপত্তা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতার বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে কী করতে হবে, স্কুলের কর্মীদের সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে সতর্ক থাকা ও নজর রাখা এবং প্রয়োজনে তাদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। জরুরি অবস্থার কথা মাথায় রেখে স্কুলগুলিতে সব ধরনের প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে। কেন্দ্র তার নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়েছে, স্কুলগুলির অবস্থা এমন হতে হবে যাতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয়।
Leave a comment
Leave a comment
