ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে নিম্নচাপ। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের রক্তচক্ষু। উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ ক্রমশই শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপের অভিমুখ ওড়িশা উপকূলের দিকে। মূলত এই নিম্নচাপের কারণে উত্তর থেকে দক্ষিণ দুই বঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলাতে। সঙ্গে বইবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি সহ ওপরের পাঁচ জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মূলত শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বাড়বে বৃষ্টির তেজ। অন্যদিকে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প মিশে থাকার কারণে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় রয়েছে। এই মুহূর্তে বাতাসে ৯৫ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা রয়েছে। যার কারণে বৃষ্টিবিহীন অবস্থাতে প্রচুর পরিমাণে ঘামবে শরীর। সব মিলিয়ে বলাই যায় বর্ষার বাংলায় দোসর হয়ে উঠেছে নিম্নচাপ। সুস্পষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সপ্তাহভর উত্তর থেকে দক্ষিণ দুই বঙ্গের একাধিক জেলা ভিজবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে। পুজোর মুখে গভীর দুর্যোগ। শপিংরত বাঙালির কপালে চিন্তার ভাঁজ। মৃত্শিল্পীদের কপাল কুঁচকে আছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে ঠাওর করার চেষ্টা করছেন, কবে বৃষ্টি কমে রোদ উঁকি দেবে। কারণ কুমোরপাড়ায় এখন ব্যস্ততা ষোলোয়ানা। অর্ডার অনুযায়ী কাজ শেষ করতে হবে। এখন তো পুজো এগিয়ে এসেছে। কার্যত মহালয়া থেকেই পুরোদমে পুজো শুরু হয়ে যায়। তাই এগিয়ে এসেছে কুমোরটুলি, প্রশস্তর মতো মূর্তিপাড়ার ব্যস্ততাও। শপিং মল, দোকানে দোকানে ভিড় বাড়ছিল। নিম্নচাপের রক্তচক্ষুতে সেই ভিড়ে আঁকশির টান পড়েছে। কাদা প্যাচপেচে রাস্তায় এমনিতেই আয়েশি বাঙালি বেরোয় কম। তার ওপর বৃষ্টি না ধরলে শপিং নৈব নৈব চ। ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। সব উদ্যমে কার্যত জল ঢেলে দিচ্ছেন বরুণদেব।