গাজায় যুদ্ধের অবসানে দেখা গেল আশার আলো। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস গোষ্ঠী। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গাজায় তাদের হাতে আটক থাকা অর্ধেক ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার শর্তে রাজি হয়েছে হামাস। বিপরীত দিকে ইজরায়েলও বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধ নিয়ে মধ্যস্ততাকারীরা যুদ্ধবিরতির যে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে তাতে তাঁরা সম্মত আছেন। তবে হামাসের এই সিদ্ধান্তের কোনও পাল্টা জবাব এখনও আসেনি ইজরায়েলের দিক থেকে।
মিশরের এক সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবে গাজায় ইজরায়েলের সামরিক অভিযান দুমাস বা ৬০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের আশা, যদি হামাস এবং ইজরায়েল দুই পক্ষই এই সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয় তাহলে, গত দুই বছর ধরে যে রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘর্ষ চলছে তার অবসান হলেও হতে পারে।
মনে করা হচ্ছে, ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ সংঘর্ষ বন্ধের লক্ষ্যে আগে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, নতুন প্রস্তাবটি তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সম্প্রতি নতুন করে গাজা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ইজরায়েল। সে দেশের নেতানিয়াহু সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইজরায়েলিদের মধ্যেও অসন্তোষ রয়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে রবিবার ইজরায়েলের হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইজরায়েলে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় গণবিক্ষোভ।
বিক্ষোভকারীরা শুধু যে যুদ্ধ বন্ধের ডাক দিয়েছেন তা নয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার পর গাজায় আটকে থাকা এই ৫০ জন ইজরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার দাবিও তুলেছেন। তাঁদের ধারণা অধিকাংশ বন্দি এখনও জীবিত রয়েছেন।
অন্যদিকে ইজরায়েলের আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গাজার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই পূর্ব গাজার হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের দিকে চলে গিয়েছেন। তবে সেখানেও যে তারা নিরাপদে আছেন তা নয়। কারণ ওই এলাকাগুলোতেও ইজরায়েল লাগাতার গোলাবর্ষণ করে চলেছে। নিত্যদিন মানুষের মৃত্যুমিছিল এখন গাজায় রোজকার ঘটনা। ইজরায়েলি গোলার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না স্কুল, হাসপাতাল। এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে মিশর ও কাতার। যুযুধান দুই পক্ষকে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরোধী চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য এই দুই দেশ আরও সক্রিয় হয়েছে।
Leave a comment
Leave a comment
