INDIA ব্লক কেন্দ্রে এবং বিহারে ক্ষমতায় ফিরলে, কমিশনের ৩ আধিকারিককে কাঠগড়ায় তোলা হবে। বিহারের গয়াতে এক সমাবেশে রীতিমতো হুঁশিয়ার দিলেন, রায়বেরিলি কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাহুলের তোপে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার যেমন রয়েছেন, তেমনি আছেন ২ নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু এবং বিবেক যোশী। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে পাশে নিয়ে জনসমাবেশে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) ঘিরে ভোট চুরির অভিযোগ তুলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। আগের তালিকায় থাকা বিপুল সংখ্যক ভোটারের নাম এবার কী কারণে বাদ পড়েছে, তার কারণ জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতও। স্বভাবতই ভোটের মুখে এসআইআর ঘিরে এখন সরগরম গোটা বিহার। এমনই আবহে বাদ পড়া বৈধ ভোটারদের পাশে দাঁড়াতে ভোটার অধিকার যাত্রা রাহুলের। সঙ্গে রয়েছেন তেজস্বী।
গায়ার সমাবেশে রাহুল বলেন, ভোট চুরি ভারত মাতার আত্মার উপর আক্রমণ। আর সেই ভোট চুরি ধরা পড়ার পরেও কমিশন তাঁকে বলেছে, হলফনামা দাখিল করতে। বলেন, ”আমি নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই, গোটা দেশ আপনাকে হলফনামা দিতে বলবে। আমাদের কিছু সময় দিন আমরা প্রতিটি বিধানসভা এবং লোকসভা কেন্দ্রে ভোট চুরি ধরব এবং জনগণের সামনে তুলে ধরব।”
প্রসঙ্গত, বিহারে রাহুলের ভোট চুরি অভিযোগ ঘিরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার তাঁর দাবির সমর্থনে ৭ দিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছেন। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে হলফনামা জমা না পড়লে, অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। কমিশনের এই পদক্ষেপ ঘিরেই তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী।
গয়ার সমাবেশে রাহুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীজি যেমন বিহারের জন্য একটি বিশেষ প্যাকেজের কথা বলেন, নির্বাচন কমিশন তেমনই বিহারের জন্য SIR নামে একটি বিশেষ প্যাকেজ এনেছে। যা ভোট চুরির একটি নতুন রূপ,”। রাজ্যে রাজ্যে এমন “ভোট চোরি” করা যাবে না বলেও সতর্ক করেছেন রাহুল।
বলেন, “আমি সমাবেশ মঞ্চ থেকে মিথ্যা বলি না। ৩ নির্বাচন কমিশনারকে বলতে চাই, এটি এখন মোদিজির সরকার। তেজস্বীজি অভিযোগ করেছেন, আপনারা (নির্বাচন কমিশনাররা) বিজেপির সদস্যপদ নিয়েছেন এবং তাদের জন্য কাজ করছেন। কিন্তু একদিন আসবে যখন বিহার এবং দিল্লিতে INDIA ব্লক সরকারে থাকবে। তখন আমরা আপনাদের তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আপনারা পুরো দেশ থেকে ভোট চুরি করেছেন।”
