মহারাষ্ট্রে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে “অস্বাভাবিক হারে সন্ধ্যা ৬টার পর ভোট পড়েছে”—এই অভিযোগ ভিত্তিক একটি মামলাকে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিল।
বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ আবেদনকারীর দাবিকে গুরুত্ব দিতে অস্বীকার করে বলেন, এই বিষয়ে হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ নেই।
আবেদনকারী চেতন চন্দ্রকান্ত আহিরে, জুন ২০২৫-এ বম্বে হাই কোর্টের দেওয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি ছিল, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ঘটেছে এবং তাই রাজ্যের সমস্ত ২৮৮টি আসনের ফল বাতিল বলে ঘোষণা করা হোক।
আবেদনকারীর মূল অভিযোগ ছিল, সন্ধ্যা ৬টার পর ৭৫ লক্ষেরও বেশি ভোট পড়েছে, যা “অস্বাভাবিক” এবং “বেআইনি”। ৯০টিরও বেশি আসনে গণনা ও ভোটদানের সংখ্যার মধ্যে অমিল রয়েছে বলে অভিযোগ।
তিনি সন্ধ্যার পর দেওয়া ভোটের টোকেন এবং আসনভিত্তিক বিশ্লেষণ চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানান। বিজয়ী প্রার্থীদের নির্বাচনী শংসাপত্র বাতিলেরও অনুরোধ জানান।
এর আগে বম্বে হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে জানিয়েছিল, পুরো মামলা একটি মাত্র সংবাদ প্রতিবেদন-এর উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা। আবেদনকারীর বক্তব্য জল্পনা ও ভিত্তিহীন, যা আইনপ্রণালীর অপব্যবহার।
আবেদনকারী নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হননি, সরাসরি আদালতে এসে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন, পর্যবেক্ষণ ছিল বম্বে হাইকোর্টের।
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আহিরে সুপ্রিম কোর্টে যান, কিন্তু সেখানেও তাঁর আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে স্পষ্ট যে, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ আদালত মেনে নেয় না, যথাযথ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ না করে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হওয়া আইনি প্রক্রিয়ার অপব্যবহার বলে গণ্য হতে পারে।