এবার আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত অনলাইন গেম নিষিদ্ধ হতে চলেছে ভারতে! মঙ্গলবারই ‘দ্য প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’-এ অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বিলটি সংসদে পাশ হলে অনলাইন রিয়েল-মানি গেমিং চালালে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আর এতেই শঙ্কা প্রকাশ করেছে অনলাইন গেমিং শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা। প্রস্তাবিত সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে এই গেমিং শিল্পের তিনটি প্রধান সংগঠন। তাঁদের দাবি, এই পদক্ষেপে প্রায় ২ লাখ চাকরি ঝুঁকির মুখে পড়বে এবং ২ ট্রিলিয়ন টাকার বৈধ শিল্প একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে এমন আহ্বান জানিয়েছে গেমস্ক্রাফ্ট-সমর্থিত অল ইন্ডিয়া গেমিং ফেডারেশন (AIGF), ড্রিম১১-সমর্থিত ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ফ্যান্টাসি স্পোর্টস (FIFS) এবং গেমস২৪x৭-সমর্থিত ই-গেমিং ফেডারেশন (EGF)।
অল ইন্ডিয়া গেমিং ফেডারেশনের দেওয়া তথ্য বলছে, অনলাইন গেমিং শিল্পক্ষেত্রের বাজারমূল্য বর্তমানে ২ ট্রিলিয়ন টাকারও বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই শিল্পে ৩১,০০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে এবং ২০,০০০ কোটি টাকার কর বা ট্যাক্স প্রাপ্তি হয়েছে। তথ্য বলছে, ভারতে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ অনলাইন গেমিং ব্যবহার করে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ২৫,০০০ কোটিরও বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছিল এই গেমিং শিল্পে।
লাইভ দ্য মিন্টের তথ্য অনুসারে, গত অর্থবছরে ড্রিম১১, গেমস্ক্রাফ্ট, গেমস২৪x৭ এবং মোবাইল প্রিমিয়ার লিগ (MPL) মিলিয়ে প্রায় ১৩,০০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে। কিন্তু এত বিপুল রাজস্ব আয় সত্ত্বেও কেন এই অনলাইন গেম বন্ধ করার পথে হাঁটছে কেন্দ্র সরকার? সরকারি বিলের খসড়ায় বলা হয়েছে, অনলাইন গেমিং আসলে মানি লন্ডারিং, আর্থিক জালিয়াতি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে অসংখ্য মানুষ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, কখনও কখনও তার পরিণতি হয়েছে চরম।
Leave a comment
Leave a comment