দুর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রী এমনকী প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীও যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন তবে তাঁদের যাতে সরিয়ে দেওয়া যায় সেজন্য একটি বিল সংসদে পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠীর সাংসদ সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং অন্ধপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু এনডিএ সরকারের উপর থেকে যাতে সমর্থন প্রত্যাহার না করেন তার জন্যই এই বিল।
বুধবার এক্স পোষ্টে রাউত লিখেছেন, এই বিল নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর পক্ষে সবচেয়ে আতঙ্কের। কারণ এই বিলে বলা হয়েছে, কোনও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী যদি কোনও কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধের দায়ে ৩০ দিনের বেশি বন্দি থাকেন তবে ৩১তম দিনের মাথায় তাঁদের সরিয়ে দেওয়া যাবে। দুর্নীতির দায়ে জড়িত মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার এবং তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দিতেই এই বিল এনেছেন মোদি এবং শাহ। যা নায়ডু এবং নীতীশের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ের। আসলে মোদি সরকার ভয় পাচ্ছে যে, যে কোনও মুহূর্তে নীতীশ কুমার বা চন্দ্রবাবু নায়ডু কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিতে পারে।
বুধবার লোকসভায় এই বিল পেশ হতেই একযোগে প্রতিবাদে নামে বিরোধীরা। বিরোধী কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের সংসদরা এই বিলের বিরুদ্ধে ওয়েলে নেমে এসে চিৎকার শুরু করেন। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের প্রবল চাপে এই বিলটি সংসদীয় যৌথ কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও এই বিলের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বিল আইনে পরিণত করে মোদি সরকার নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিতে চাইছে। এই বিল পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল। যা নিয়ে শাহের সঙ্গে তর্কাতর্কিত জড়িয়ে পড়েন তিনি। বেণুগোপাল বলেন, এই বিল সংবিধানের প্রতি এক বড় মাপের আঘাত। শাহকে কটাক্ষ করে বেণুগোপাল বলেন, গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তো শাহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। সে সময় তাঁর নৈতিকতা কোথায় ছিল?বেণুগোপালের প্রশ্নের উত্তরে শাহ পাল্টা বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। আদালতের নির্দেশে যতক্ষণ না তিনি নির্দোষ প্রমাণ হয়েছেন ততদিন কোনও সাংবিধানিক পদও গ্রহণ করেননি।
Leave a comment
Leave a comment