রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ বিরতির লক্ষ্যে সপ্তাহখানেক আগে আলাস্কায় মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই বৈঠক নিয়ে যেমন বিশ্বজুড়ে একটা কৌতুহল ছিল তেমনি পুতিনের অদ্ভুত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সূত্রের খবর, পুতিনের জন্য তাঁর দেহরক্ষীরা রাশিয়া থেকে মলবাহী বিশেষ স্যুটকেস নিয়ে এসেছিলেন আলাস্কায়। ওই বিশেষ স্যুটকেসে পুতিনের মল এবং মূত্র সংগ্রহ করে নিয়ে তাঁরা রাশিয়ায় ফিরে গিয়েছেন। দুই ফরাসি সাংবাদিকের দাবি, পুতিন যখন বিদেশ সফরে যান তখন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল প্রটেকশন সার্ভিসের সদস্যরা তার সমস্ত দেহবর্জ্য সংগ্রহ করেন। বিদেশের মাটিতে পুতিনের ত্যাগ করা মল ও মূত্র ওই বিশেষ ব্যাগে ভরে সিল করা হয়। পরে সেগুলো একটি বিশেষ ব্রিফকেসে ভরে রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রশ্ন হল কেন এটা করা হয়?
অনুমান করা হচ্ছে, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যাতে পুতিনের শারীরিক অবস্থার কোনও প্রমাণ না পায় তার জন্যই এই কাজ করা হয়। সে কারণে পুতিনের যে কোনও বিদেশ সফরে পোর্টেবল টয়লেট বহন করেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। পুতিনকে যাতে অন্য কোনও শৌচাগার ব্যবহার করতে না হয় এবং তাঁর সমস্ত শারীরিক বর্জ্য যাতে নিশ্চিতভাবেই সুরক্ষিত রাখা যায় তার জন্যই এই পোর্টেবল টয়লেট বহন করেন তার নিরাপত্তারক্ষীরা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এর আগের রুশ প্রেসিডেন্ট যখন ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া বা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন সে সময়ও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। তবে এটা নতুন নয়।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে পুতিনের নিরাপত্তায় এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু আছে। তাই আলাস্কার বৈঠকে এটা নতুন কিছু নয়।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকেই পুতিনের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে অন্য একটি সূত্রের দাবি, ১৯৯৯ সালে দেশের নেতৃত্বের ভার নেওয়ার পর থেকেই এই ধরনের কড়া নিরাপত্তা জারি রয়েছে পুতিনের জন্য।
ওই দুই ফরাসি সাংবাদিকের দাবি, রুশ প্রেসিডেন্টের শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিদেশি রাষ্ট্রগুলি যাতে কোনওরকম তথ্য সংগ্রহ করতে না পারে তার জন্যই পুতিনের প্রতিটি বিদেশ সফরে তাঁর সঙ্গে মল ও মূত্রবাহী বিশেষ স্যুটকেস নিয়ে যাওয়া হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমনটাই খবর।
সম্প্রতি ৭২ বছর বয়সি পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছে। কখনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে তাঁর হাত কাঁপতে দেখা গিয়েছে। কখনো তাঁকে টলে পড়ে যেতেও দেখা গিয়েছে।
এক সময় গুজব ছড়িয়েছিল যে, পুতিন ত্বকের ক্যান্সারে ভুগছেন। এই প্রবীণ নেতার স্নায়বিক কিছু সমস্যাও রয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। যদিও রাশিয়া সরকারি হবে কখনওই পুতিনের শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে কোনও খবর প্রকাশ করেনি।
সম্প্রতি পুতিনের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে জল্পনা ছড়ানোয় তাঁর শারীরিক বর্জ্য সংগ্রহের বিষয়টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।