দিল্লির সিভিল লাইন্স এলাকায় বুধবার মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার ক্যাম্প অফিসে জনশুনানি কর্মসূচি চলাকালীন তাঁর ওপর হামলার ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ঘিরে বড় ধরনের পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
অভিযুক্তের নাম সাকারিয়া রাজেশভাই খিমজিভাই, যে মূলত গুজরাতের রাজকোটের বাসিন্দা। অভিযুক্ত ব্যক্তি আবেদনকারী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে আচমকা তাঁকে চড় মারে, ধাক্কা দেয় এবং চুল ধরে টানে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা তৎক্ষণাৎ তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সূত্রের খবর, এখন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর জনশুনানি কর্মসূচির নিরাপত্তা বহুলাংশে জোরদার করা হবে। কোনও আবেদনকারী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে পারবেন না। প্রতিটি অভিযোগ আগে থেকেই যাচাই-বাছাইয়ের পর অভিযোগকারীকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাকে এমনিতেই জেড-প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
এদিকে তদন্তের স্বার্থে দিল্লি পুলিশ পাঁচ দিনের হেফাজতের মধ্যে রাজেশ সাকারিয়াকে রাজকোটে নিয়ে যেতে পারে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য। পাশাপাশি নয়াদিল্লিতে সিভিল লাইন্স-এ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেও নিয়ে যেতে পারে অপরাধ পুনর্নির্মাণ করতে।
তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখবেন, অভিযুক্ত রাজেশ হামলার আগে দিল্লিতে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কিনা। তার মোবাইল ফোন ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, হামলার পেছনে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রাজেশ সাকরিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯(১) ধারায় ‘হত্যার চেষ্টা’ মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তাকে “ধারাবাহিক অপরাধী” বলেও আখ্যা দিয়েছে। রাজেশের বিরুদ্ধে গুজরাতে একাধিক মামলা রয়েছে, যদিও তার অনেকগুলিই পরবর্তীতে খারিজ হয়ে গেছে।