গত ৩০ জুলাই। ট্রুথ সোশ্যাল প্লাটফর্মে একটি পোস্ট করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারত ছিল রাশিয়ার সবথেকে বড় তেলের ক্রেতা। চিনের পাশাপাশি। আর সেটা এমন একটা সময়, যখন সকলেই চাইছেন ইউক্রেনে এই হত্যা যেন বন্ধ হয়, সব জিনিস ভাল নয়’। এরপর ১৯ অগাস্ট, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট সিএনবিসিকে বলেন, ‘ভারতের কয়েকটি ধনকুবের পরিবার’ এই আমদানির সুবিধা পাচ্ছে।
আসলে রাশিয়া থেকে যে ক্রুড অয়েল আমদানি করা হচ্ছে তা করছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। যার মাথায় বসে আছেন এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি।
পরিসংখ্যান বলছে ২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসে জামনগর রিফাইনারি ১৮.৩ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করেছে। গত বছরের নিরিখে এই আমদানিকৃত তেলের পরিমাণ ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে যত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছিল রিলায়েন্সের তরফে, ২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসে যা তেল আমদানি করা হয়েছে তা মাত্র গত বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ কম। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে এ নিয়ে রিলায়েন্সের তরফে কোনও বক্তব্য মেলেনি।