সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্র রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন পরীক্ষার্থীরা। চাপমুক্ত হয়েছে রাজ্য সরকারও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, এতে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ রায় বেরোনোর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা এই বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফল প্রকাশ করতে পেরেছি। যে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড এই কাজটা করল আমি তার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। এবার আমাদের রাজ্যের ১ লক্ষেরও বেশি ছেলে-মেয়েরা আগামী দিনের ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট হওয়ার লক্ষ্যে নিশ্চিন্তে এগিয়ে যেতে পারবে।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যের নতুন ওবিসি তালিকা বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ দিয়েছিল পুরনো তালিকা মেনেই ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করতে হবে বিভিন্ন কলেজে। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু আইনি লড়াইয়ের কারণে ভর্তি প্রক্রিয়া থমকে থাকার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে আটকে ছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশের বিষয়টিও। স্বাভাবিকভাবেই একরাশ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিলেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরাও। প্রশ্ন উঠছিল রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই বিভিন্ন কলেজে আন্ডারগ্রাজুয়েট কোর্স-এ ভর্তি হওয়ার জন্য মেধা তালিকাও কেন্দ্রীয় অ্যাডমিশন পোর্টালে আজ প্রকাশিত হয়েছে। এটাও অত্যন্ত আনন্দের। অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বকেয়া বিষয়গুলিও অবিলম্বে মিটিয়ে নেওয়া হবে।”
রাজ্য সরকার যে ইচ্ছাকৃতভাবে ফল প্রকাশে দেরি করেনি, আইনি জটিলতার কারণেই যে এই বিলম্ব, সেটাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, “আইনি কিছু জটিলতার কারণে আমরা বাধ্য হয়েছি ফল প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করতে। এর জন্য আমি দুঃখিত, কিন্তু এটা মোটেও আমাদের ইচ্ছাকৃত নয়। আমি কখনও চাই না কারও ক্ষতি হোক। আমি সব সময় চাই, সকলের ভাল হোক।”
সবশেষে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি তাঁর আশ্বাস, “দেরিতে ফলপ্রকাশের কারণে কারও যাতে ক্ষতি না হয় সেটাও আমরা দেখব।”
