হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ। আজ থেকে পুরোপুরি চালু হয়ে যাচ্ছে মেট্রো রেলের গ্রিন লাইন। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গ্রিন লাইনে জুড়ে যাচ্ছে ধর্মতলা-শিয়ালদহও।
শহরের দুই বৃহৎ রেল স্টেশন হাওড়া ও শিয়ালদহকে এক সূত্রে বেঁধে দিচ্ছে মেট্রো রেলের এই নতুন পরিষেবা। সময় নেবে কমবেশি ১২ মিনিট। স্বভাবতই দুর্ভোগ বেশ খানিকটা কমবে দুই স্টেশনে পৌঁছতে চাওয়া লক্ষ লক্ষ লক্ষ রেলযাত্রীর।
প্রসঙ্গত, এক লাইনে পুরো পরিষেবা অর্থাৎ হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত সময় লাগবে মাত্র ২৫-২৬ মিনিট।
শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড জুড়ে যাচ্ছে বলে ইস্ট -ওয়েস্ট মেট্রোর গ্রিন লাইনে ১২টি স্টেশনেই পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। এই পথে থাকবে হাওড়া ময়দান, হাওড়া, মহাকরণ, ধর্মতলা তথা এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদহ, ফুলবাগান, সল্টলেক স্টেডিয়াম, বেঙ্গল কেমিক্যাল, সিটি সেন্টার, সেন্ট্রাল পার্ক, করুণাময়ী, সল্টলেট সেক্টর ফাইভ স্টেশন।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেল সূত্রে খবর, ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই পিক আওয়ার্সে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পরিষেবা মিলবে ৮ মিনিট অন্তর। আপাতত ১৮০ টি মেট্রো এই পরিষেবা দেবে। শুধু তাই নয়, রবিবারও চালু থাকছে গ্রিন লাইনের মেট্রো রেল পরিষেবা।
আগে মেট্রো রেলের গ্রিন লাইনে পরিষেবা মিলেছিল দুটি পর্যায়ে। গ্রিন লাইন ওয়ানে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ। পাড়ি দিত ৯.২ কিলোমিটার পথ। আর গ্রিন লাইনে হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা। যার দূরত্ব ৪.৮ কিলোমিটার। গ্রিন লাইনে শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পরিষেবা বন্ধ থাকত রবিবার। এবার কিন্তু ধর্মতলা-শিয়ালদহ জোড়ার ফলে এক মেট্রোতেই সব স্টেশনে পৌঁছনো যেমন যাবে, তেমনি সম্পূর্ণ পরিষেবা মিলবে রবিবারও। গোটা যাত্রাপথে মেট্রো রেলকে পাড়ি দিতে হবে ১৬.৬ কিলোমিটার।
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেল সূত্রে খবর, সকাল ৬-৩৫ থেকে রাত ৯-৪৫ পর্যন্ত গ্রিন লাইনে চালু থাকবে মেট্রো পরিষেবা। স্থির হয়েছে সকাল ৯ টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট অন্তর মিলবে পরিষেবা। পিক আওয়ার্সে মিলবে ৮ মিনিট অন্তর। দুপুর থেকে বিকেল ৪.৩০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো পাওয়া যাবে ১০ মিনিট অন্তর। আবার ৪.৩০-এর পর থেকে রাত ৮.৩০ মিনিট পর্যন্ত চালু থাকবে ৮ মিনিট অন্তর। তারপর আবার ১৫ মিনিট অন্তর পরিষেবা মিলবে।
রবিবার এই লাইনে পরিষেবা চালু হবে সকাল ৯ টায়। রাত ৯-৪০ মিনিট পর্যন্ত চলবে ১৫ মিনিট অন্তর।
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ সংযুক্ত গ্রিন লাইনে দৈনিক যাত্রী সংখ্যা ৬ লক্ষ প্রত্যাশা করেই পরিষেবা চালু করছে। ভিড় আরও বাড়লে বিরতির সময় কমিয়ে দেওয়া হবে। শারদোৎসবের কথা মাথায় রেখে বাড়তি রেক এনে দৈনিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হবে।