টেনিস কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামস সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদদের অন্যতম। বর্তমানে দুই সন্তানের মা সেই সেরেনা সম্প্রতি ভাগ করে নিয়েছেন নিজের একটি গোপন তথ্য। একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওজন কমানোর ওষুধের পাশাপাশি ব্যায়াম এবং সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে কীভাবে তিনি ১৪ কেজি ওজন কমিয়েছেন।
টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার পরেও স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের দিক থেকে অনেকের আদর্শ সেরেনা। তবে এখন তাঁকে দেখে চেনা দায়। প্রসবোত্তর সময়ে নিজের প্রায় ৩১ পাউন্ড বা ১৪ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি। আর এ বার ভাগ করে নিলেন সেই সাফল্যেরই নেপথ্য রেসিপি। জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর ব্যায়াম এবং যথোপযুক্ত ডায়েট সত্ত্বেও কিছুতেই ওজন কমছিল না তাঁর। ফলে বাধ্য হয়েই ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই বাজিমাত।
উক্ত সাক্ষাৎকারে সেরেনা বলেন, “আমি দৌড়েছি, হেঁটেছি, সবকিছুই করেছি। তবু একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে যতটা ফিট থাকা উচিত সেই জায়গায় পৌঁছতে পারিনি। তাই ভেবেছিলাম, আমাকে অন্য কিছু চেষ্টা করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমি শর্টকাট নিই না। আমি সহজ পথে হাঁটি না। ফিটনেসের জন্য যা যা প্রয়োজন, আমি সবকিছুই করি। কিন্তু আমার শরীর আর আগের মতো সাড়া দিচ্ছিল না।”
সেরেনা জানিয়েছেন, অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে ওষুধ, ডায়েট এবং ব্যায়ামকে একসঙ্গে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। স্বীকার করে নিয়েছেন যে, যখন সঠিক ডায়েট বা জিম কোনওভাবেই কাজে আসেনি তখন GLP-1 নামের একটি ওষুধ তাঁকে ওজন কমাতে সাহায্য করেছিল। তবু এর পরেও তিনি দৌড়ানো, হাফ-ম্যারাথন প্রশিক্ষণ এবং নিয়মিত ওয়ার্কআউট চালিয়ে গিয়েছিলেন। ডায়েটিংয়ের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাবারের উপর জোর দিয়েছিলেন।
এই পদ্ধতিটি তাঁকে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দিয়েছে বলেও দাবি সমস্ত গ্র্যান্ড স্ল্যাম এবং অলিম্পিকে একাধিক স্বর্ণপদকজয়ী সেরেনার। এই পদ্ধতি জয়েন্টের ব্যথা কমানোর পাশাপাশি তাঁর শক্তি বাড়িয়েছে। যা একজন ক্রীড়াবিদ তো বটেই এমনকি একজন মায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সেরেনা বলেন, শারীরিক সমস্যার সমাধানেই ডাক্তারের কাছে যায় মানুষ। তবে স্বাস্থ্য হল ভারসাম্য, যা মূলত বিশ্বাস এবং যত্নের ওপরই নির্ভরশীল।