সদ্য দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পদের পরিমাণের তালিকা সামনে এনে হইচই ফেলে দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস।সেই তালিকার একেবারে উপরে নাম আছে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডুর।এর মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু শীর্ষস্থানে আছেন, ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ৯৩১ কোটি টাকা। যেখানে সবচেয়ে দরিদ্র হিসেবে তালিকার একেবারে নীচে আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁর সম্পদ মাত্র ১৫.৩৮ লক্ষ টাকা।
কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়েও কীভাবে বিপুল অর্থের অধিকারী হলেন চন্দ্রবাবু নাইডু?
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে নাইডুর সম্পদ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত নয় বা অস্বচ্ছ কোনও উৎস থেকে আসেনি বরং তিনি নিজেই এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তথ্য বলছে মাত্র ৭ হাজার টাকা থেকে গড়ে উঠেছে ৬,৭৫৫ কোটি টাকার বিপুল দুগ্ধ সাম্রাজ্য।
১৯৯২ সালে ভারতের দুগ্ধ শিল্প যখন অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল, তখনই অন্ধ্রপ্রদেশের এন. চন্দ্রবাবু নাইডু প্রতিষ্ঠা করেন হেরিটেজ ফুডস লিমিটেড।যার মূলধন ছিল মাত্র ৭ হাজার টাকা। ১৯৯৪ সালে তাঁর কোম্পানি যখন শেয়ারবাজারে আসে তখন তার আইপিও ৫৪ গুণ বেশি সাবস্ক্রাইব হয় যার ফলে ৬.৫ কোটি টাকা তোলা সম্ভব হয়। এরপর তিন দশকে এই প্রতিষ্ঠান ১৭টি রাজ্যে তার ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য বিস্তার করে।প্রায় ৩ লক্ষ দুগ্ধচাষীর সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলে নাইডুর সংস্থা।কোম্পানির টার্নওভার ২০০০ সালে ১০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৪,০০০ কোটি টাকা।নাইডুর পরিবার এখনও সংস্থার ৪১.৩ শতাংশ শেয়ারের অধিকারী।
২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের বিভাজন, ২০০৪ ও ২০১৯-এর নির্বাচনী ব্যর্থতা এবং ২০২৪-এ ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন, নানা রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গেলেও ব্যবসা থেকে সরেনি চন্দ্রবাবু নাইডুর পরিবার। ১৯৯৪ সালে নাইডু রাজনীতিতে সম্পূর্ণ সময় দেওয়ায় তার স্ত্রী নারা ভূবনেশ্বরী হেরিটেজ ফুডসের দায়িত্ব নেন।বলা চলে তার নেতৃত্বেই এই কোম্পানি এগিয়ে চলেছে প্রতিদিন।
Leave a comment
Leave a comment