১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে স্বাধীন হয় ইউক্রেন। আর রবিবার সেই স্বাধীনতার ৩৪ বছর পূর্তি উদযাপনের দিনেই রাশিয়ার পশ্চিম কুরস্ক অঞ্চলের একটি পারমাণবিক কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে ওই কেন্দ্রে আগুন লেগে গেলেও তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করে প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ। এই হামলায় ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে রেডিয়েশন স্বাভাবিক মাত্রায় আছে বলে টেলিগ্রামে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের পারমাণবিক সংস্থা আইএইএ জানায়, তারা ঘটনার বিষয়ে অবগত হলেও স্বাধীনভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চিত করতে পারেনি। সংস্থার প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, “প্রতিটি পারমাণবিক ক্ষেত্রই সর্বদা সুরক্ষিত রাখা দরকার।” যদিও ইউক্রেন এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর কথা বললেও তার ধারকাছ দিয়ে হাঁটছেন না দুদেশের দুই রাষ্ট্রনেতা। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, রবিবার ভোররাত পর্যন্ত মোট ৯৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া ৭২টি ড্রোন ও ডিকয় এবং একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ৪৮টি মাটিতে নামানো বা ব্যাহত করা হয়েছে।
এই হামলা ও পাল্টা হামলার মধ্যেই রবিবার ইউক্রেন স্বাধীনতা দিবস পালন করে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভের ইন্ডিপেনডেন্স স্কয়ার থেকে ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “আমরা এমন এক ইউক্রেন গড়ে তুলছি, যার যথেষ্ট শক্তি থাকবে নিরাপত্তা ও শান্তিতে বাঁচার জন্য। আমাদের ভবিষ্যৎ কেবল আমাদের হাতেই নির্ধারিত।” তিনি আরও বলেন যে বিশ্ব এখন ইউক্রেনকে সম্মান করছে এবং সমকক্ষ হিসেবে বিবেচনা করছে।
