ফিটনেস এবং অক্ষয় কুমার বোধহয় সমার্থক শব্দ। আর তা ধরে রাখতে নিজের লাইফস্টাইল এবং ওয়ার্কআউট নিয়ে কোনও আপস করেন না অভিনেতা-প্রযোজক। ৫৮ ছুঁতে চলা বলিউডের ‘খিলাড়ি’ তাঁর ফিট থাকার মন্ত্র সম্প্রতি শেয়ার করেছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। বলেছেন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং কিছু সাধারণ নিয়ম-কানুন মানলেই কিন্তু সুস্থ থাকা সম্ভব।
ইওর বডি অলরেডি নোজ নামে একটি সাম্প্রতিক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বলিউড সুপারস্টার। সেখানে তিনি বলেন, সোমবার সারাদিন উপবাসে থাকেন। আর নিয়ম করেই রাতের খাবার সন্ধে সাড়ে ৬টার মধ্যে খেয়ে নেন। তাঁর বিশ্বাস, স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে একটি সুস্থ পেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানিয়েছেন, তিনি জিমে কোনও ট্র্যাডিশনাল ট্রেনিং বা ওয়েট ট্রেনিং করেন না।
সপ্তাহে একদিনের এমন উপবাস তাঁকে হালকা ও এনার্জেটিক থাকতে সাহায্য করে বলে দাবি করেছেন অক্ষয়। রাতের খাবার সন্ধে সাড়ে ৬টা-৭টার মধ্যে কেন খান তারও বিশদে ব্যাখ্যা দিয়েছেন অক্ষয়। বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে বলেন, ”আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমাদের চোখ, পা, হাত সহ শরীরের প্রতিটি অংশ বিশ্রামের অবস্থায় থাকে। তাই আমরা যদি দেরিতে রাতের খাবার খাই, তাহলে পেটকে সঠিকভাবে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয় না।” অক্ষয়ের বক্তব্য, রাতের খাবার সাড়ে ছটা থেকে সাতটার মধ্যে খেয়ে নিয়ে সাড়ে নটা-দশটায় ঘুমোতে গেলে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় পেট। কারণ খাবার হজম করার সময় ততক্ষণে পেয়ে যায় পেট।
অনুষ্ঠানে কথোপকথনের সময় তিনি আরও বলেন, “দেরিতে খেয়ে আপনি যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন কিন্তু আপনার পেটের বিশ্রাম নেওয়ার সময় হয়ে যায়। কিন্তু তখন ঘুম থেকে উঠে কিছু পরেই আমরা ব্রেকফাস্ট সেরে নিই। ফলে পেটের কাজ আবার শুরু হয়ে যায়। পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেতে পেতে দুর্বল হয়ে পড়ে পেট। আর পেটকে সুস্থ রাখা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আমরা সকলেই জানি। কারণ সমস্ত রোগই সেখান থেকেই আসে।”
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে, অভিনেতা-পরিচালক ক্র্যাশ ডায়েট বা প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়েও সতর্ক করেছেন অনুরাগীদের। বলেছেন, সুস্থ থাকার জন্যে তাঁকে ওয়েট ট্রেনিং করতে হয় না। বরং রক ক্লাইম্বিং, আউটডোর গেমস বেশি পছন্দ করেন। তাঁর নিজস্ব জিম নিয়েও মজার মন্তব্য করেছেন বলিউডের খিলাড়ি। বলেছেন, জিমটা যেন “বানরদের জন্য”। সেখানে ওয়েট ট্রেনিং-এর নানান সামগ্রী উপেক্ষা করেই ক্লাইম্বিং এবং হ্যাঙ্গিং এক্সারসাইজ বেশি হয়।