মেয়েকে হারিয়ে তীব্র অনুশোচনায় ভুগছেন নিক্কি ভাটির বাবা ভিখারি সিং। তিনি বলছেন, দীর্ঘ ছয় দশক আগেই পণপ্রথা নিষিদ্ধ হয়েছে। সেটা তিনি জানতেন। তার পরেও মেয়ের বিয়েতে তিনি বিপুল পরিমাণ যৌতুক দিয়েছিলেন। তিনি মনে করছেন, এটা তাঁর ভুল হয়েছিল। যে পরিবার বিপুল পরিমাণ যৌতুক চায় সেই ফ্যামিলিতে তাঁর মেয়ের বিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি।
নিক্কির বাবা বলেছেন, ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর তাঁর দুই মেয়ে নিক্কি ও কাঞ্চনকে বিপিন ও রোহিতের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। দুই মেয়ের বিয়েতে তিনি একটি স্করপিও গাড়ি, একটি রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল, ৫০০ গ্রামেরও বেশি সোনা ছাড়াও নানা জিনিস যৌতুক দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও বিপিন ও রোহিতের বাড়ি থেকে পণের দাবি নিয়মিতই চলতে থাকে। দুই মেয়ের উপরে অত্যাচারের মাত্রাও বাড়তে থাকে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিক্কি ফেব্রুয়ারিতে তাঁর কাছে ফিরে এসেছিল। কিন্তু সে সময় জামাই বিপিন তাঁর বাড়িতে এসে ক্ষমা চেয়ে নেয়। সে প্রতিশ্রুতি দেয়, ভবিষ্যতে আর কখনও এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। জামাইয়ের সেই স্বীকারোক্তি মেনে নেওয়া তার একটি ভুল হয়েছিল। তিনি জামাইয়ের কথায় বিশ্বাস করে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যদি নিক্কিকে শ্বশুরবাড়ি না পাঠাতেন তবে এভাবে তাঁর মেয়েকে হারাতে হত না। মাত্র ২৮ বছর বয়সেই তাঁর ফুলের মতো সুন্দর মেয়েটা চলে গেল। ভিখারির প্রশ্ন, আমার আর কী রইল? নিক্কির বাবা ভিখারি আরও জানিয়েছেন, তিনি তাঁর একমাত্র নাতিকে নিজের কাছে নিয়ে আসবেন। তিনি তাকে মানুষ করবেন। নিক্কির বাবার দাবি, তার ছয় বছরের নাতি একটানা কেঁদে চলেছে। ছয় বছরের শিশুর মুখে একটাই কথা, বাবা আমার মাকে মেরে ফেলল। এসব ঘটনার জন্য নিজেকে দুষছেন নিক্কির বাবা। ভিখারি বলছেন, “সেদিন যখন ওরা বিপুল পরিমাণ পণ চেয়েছিল ওই দিন যদি আমি মেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত না নিতাম তাহলে হয়ত এত বড় অঘটন ঘটত না।”