প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের আকস্মিক পদত্যাগকে ঘিরে বিরোধীদের অভিযোগের মাঝেই মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, ধনখড় স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণেই পদত্যাগ করেছেন, বিরোধীদের “গৃহবন্দি” অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।
এক সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, “ধনখড় সাহেবের পদত্যাগপত্রেই সব পরিষ্কার। তিনি স্বাস্থ্যজনিত কারণ উল্লেখ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা ও সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগের ওপর সত্য-মিথ্যার বিচার টিকিয়ে রাখা উচিত নয়।”
বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, ধনখড়কে সরকারের চাপে “চুপ” করিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উপরাষ্ট্রপতির “নীরব পদত্যাগ” বলে উল্লেখ করেছেন।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “আমরা আবার মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছি। রাজা যাকে পছন্দ করল না, তাকে সরিয়ে দিচ্ছে। নির্বাচিত প্রতিনিধি ৩০ দিনের মধ্যে উধাও হয়ে যাচ্ছে। নতুন উপরাষ্ট্রপতি কেন নির্বাচন করতে হচ্ছে? পুরনোজন কোথায় গেলেন?”
সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রশ্ন তুলেছেন, ধনখড়কে জনসমক্ষে দেখা না যাওয়ায় আদালতে হেবিয়াস কর্পাস মামলার প্রয়োজন আছে কিনা।
তবে বিজেপি বারবার জানিয়েছে, ধনখড় শুধুমাত্র স্বাস্থ্যগত কারণে ইস্তফা দিয়েছেন। কোনও মতবিরোধ বা চাপে পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না।
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই, সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই তিনি উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা চিঠিতে তিনি জানান, স্বাস্থ্যগত কারণে ও চিকিৎসকদের পরামর্শকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
