বলিউড পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশনের খাণ্ডালা বাড়ি শুধুই একটি বাড়ি নয়, এটি যেন পাহাড়ের বুকে এক বিলাসবহুল রিসর্ট। প্রায় ২২,৪০০ বর্গফুটের বিশাল এই ম্যানশনটি পাঁচ একর সবুজের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে, চারপাশে দৃষ্টিনন্দন রাজমাচি পাহাড়ের দৃশ্য।
সম্প্রতি ফারাহ খান তাঁর ইউটিউব ভ্লগে এই বাড়ির ভেতর ও বাইরের চিত্র তুলে ধরেন। রোশন নিজেই বলেছেন, “আমি তো গ্যারেজে জন্মেছিলাম, তাই সবসময় স্বপ্ন দেখতাম বড় একটা বাড়ি বানানোর।” সিবহা গ্রিগোরিয়া প্রাইভেট লিমিটেড-এর স্থপতি গ্রিগোরিয়া ওইকোনোমো এই বাড়ির নকশা করেছেন। পুরো বাড়িটি সাদা রঙে সাজানো, যা বাইরে থেকে দেখলে রিসর্ট বা স্টেডিয়ামের মতো লাগে। ড্রোনের এরিয়াল শটে দেখা যায় বিশাল ল্যান্ডস্কেপ গার্ডেন, খাড়া পাহাড়চূড়ায় বাড়ির অবস্থান আর চওড়া বারান্দা, যা ভেতর-বাহিরের সীমারেখা মিলিয়ে দেয়।
প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকলেই চোখে পড়ে অলিম্পিক সাইজের সুইমিং পুল। ফারাহ মজা করে বলেন, “এখানে তো একেবারে অলিম্পিক রেস আয়োজন করা যাবে।” পুলের চারপাশে রাখা হয়েছে বিশেষ আসন, গাছের গুঁড়ি কেটে বানানো চেয়ার, নৌকাকে রূপান্তর করা লাউঞ্জার। এছাড়াও রয়েছে বৃহৎ গ্যারেজ, পরিবারের বিলাসবহুল গাড়িগুলির জন্য।
ম্যানশনের ভেতরে রয়েছে একাধিক লিভিং রুম, টিভি লাউঞ্জ, ওপেন ডাইনিং এরিয়া, যেখানে প্রায়ই রাকেশ রোশন আর তাঁর স্ত্রী পিঙ্কি অতিথিদের আপ্যায়ন করেন। ঝাড়বাতি, ভারতীয় শিল্পকর্ম আর কাঁচের দেয়াল প্রতিটি ঘরে আলাদা রূপ এনে দিয়েছে। ফ্লোর-টু-সিলিং উইন্ডো দিয়ে বাইরে সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্য চোখে পড়ে, আর চওড়া বারান্দা ঘরের পরিসরকে বাড়িয়ে দেয়।
বাড়ির বিশাল সিঁড়িতে ঝুলছে ছাদের লাইট, যা সিনেমার সেটের মতো ঝলমল করে। সারা বাড়ি জুড়েই রয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা আলংকারিক সামগ্রী আর চিত্রকর্ম। রোশন বলেন, “এই বাড়ির সবকিছুই ভারতীয়।”
এখানে প্রায় সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধাই রয়েছে, হোম থিয়েটার, জিম, সাউনা, স্টিম রুম, ম্যাসাজ রুম, এমনকি বাস্কেটবল কোর্টও। শোয়ার ঘরগুলোতে রয়েছে বড় বড় কাচের জানালা আর আলাদা সাজসজ্জা। তবে সবচেয়ে অবাক করেছে বিলাসবহুল বাথরুমগুলো।
একটিতে ঢুকে ফারাহ খান হেসে বলেন, “এটা তো কারও বেডরুমও হতে পারে, বম্বেতে তো এর চেয়ে ছোট বেডরুম দেখা যায়।”
রোশন ব্যাখ্যা করেন, প্রতিটি বাথরুমকে আলাদা করে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে একঘেয়েমি না লাগে। সব মিলিয়ে, রাকেশ রোশনের খাণ্ডালা ম্যানশন কেবল একটি বাড়ি নয়, বরং এটি এক রূপকথার রাজপ্রাসাদ, প্রকৃতি, বিলাসিতা আর আধুনিকতার এক অনন্য মেলবন্ধন।
