৩১ অগাস্ট বেজিংয়ে শুরু হতে চলেছে এসসিও সম্মেলন। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে চিন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে একই মঞ্চে একইসঙ্গে দেখা যাবে মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্টকে শি জিনপিংকে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মোদি ও পুতিনকে স্বাগত জানাতে চলেছেন জিনপিং। ২০ টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রনেতা এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলির এই সম্মেলন যদি পুতিন, মোদি ও জিনপিংকে একসঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারে তবে সেটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে অস্বস্তিজনক হবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানে লালফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর এই প্রথম চিন সফরে যাচ্ছেন মোদি। ৩১অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেজিংয়ে চলবে এসসিও সম্মেলন। ওই সম্মেলন মঞ্চে একইসঙ্গে উপস্থিত থাকবেন মোদি, জিনপিং এবং পুতিন, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে তথ্যভিজ্ঞ মহল। কয়েক মাস আগে ব্রিকস সম্মেলনে রাশিয়ার কাজানে একই মঞ্চে ছিলেন মোদি ও পুতিন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপের একাধিক দেশ ও আমেরিকা রাশিয়ার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তবে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে তার মৈত্রীর বন্ধন অটুট রেখেছে। গত সপ্তাহেই রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই পুতিন ভারত ও চিনের দুই রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসসিও সম্মেলনকে ব্যবহার করে আমেরিকার বিরুদ্ধে মুক্ত আন্তর্জাতিক দুনিয়ার ছবি তুলে ধরতে চান জিনপিং। ওয়াশিংটনকে তিনি এই বার্তা দিতে চান যে, আমেরিকাকে ছাড়াই চলতে পারে গোটা দুনিয়া। সম্প্রতি ভারত, চিন-সহ বিশ্বের একাধিক দেশের উপর বিপুল পরিমাণ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করছেন, শুল্ক চাপানোর ফলে বিভিন্ন দেশ যথেষ্ট সমস্যায় পড়বে।
কিন্তু এই সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই জিনপিং দেখিয়ে দিতে চান যে, আমেরিকাকে ছাড়াই তাঁরা এগিয়ে যেতে পারেন। উল্লেখ্য, আমেরিকার আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য ভারতকে একাধিকবার অনুরোধ করেছে চিন। তাই এসসিও সম্মেলন উপলক্ষে মোদির এই বেজিং সফর কূটনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a comment
Leave a comment