বর্তমানে টেস্টে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জো রুট। ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে ৫ টেস্টের সিরিজ শেষে ১৩, ৫৪৩ রানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ইংরেজ ব্যাটার। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বাধিক রানের মালিক শচীন তেন্ডুলকর। ২০০ টেস্টে ১৫,৯২১ রান করেছেন তিনি। অর্থাৎ মাস্টার ব্লাস্টারের থেকে মাত্র ২,৩৭৮ পিছিয়ে রুট। আবার শচীনের ৫১ টি টেস্ট শতরানের রেকর্ডটিও ভেঙে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনে।
সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেট এখন শুধুই রুট-ময়। আর সেই প্রসঙ্গেই এবার নীরবতা ভাঙলেন স্বয়ং ক্রিকেটের ঈশ্বর। সম্প্রতি একটি নামী ওয়েবসাইটে ‘আস্ক মি এনিথিং’ নামের একটি লাইভ সেশনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় জো রুটের উত্থান সম্পর্কে। জবাবে নিজের দুই অবিস্মরণীয় রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শচীন। এর আগে প্রকাশ্যেই যিনি নিজের রেকর্ডগুলি ভাঙার দাবিদার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন দুই ভারতীয় বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে।
সেশনটি চলাকালীন জনৈক নেটিজেন শচীনকে প্রশ্ন করেন, “জো রুট সম্পর্কে আপনার প্রাথমিক ধারণা ঠিক কী ছিল? তিনি এখন টেস্টে ১৩ হাজার রান অতিক্রম করেছেন। আর আপনার ঠিক পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছেন। তা ছাড়া তাঁর অভিষেক টেস্ট ম্যাচেই উল্টোদিকের দলে ছিলেন আপনি।”
এই প্রশ্নের জবাবে রুটের ভূয়সী প্রশংসা করে শচীন বলেন, “১৩ হাজার রানের গণ্ডি অতিক্রম করা নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ কৃতিত্ব। আর তিনি এখনও দৃঢ়ভাবেই এগিয়ে চলেছেন। ২০১২ সালে নাগপুরে অভিষেক টেস্টের সময় তাঁকে আমি প্রথমবারের মতো দেখেছিলাম। মনে আছে, তখন আমি আমার সতীর্থদের বলেছিলাম যে তারা ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ অধিনায়ককে দেখছে।”
রুটের ব্যাটিংয়ের কোন কোন দিকগুলি তাঁকে মুগ্ধ করেছে তাও তুলে ধরেছেন শচীন। তাঁর কথায়, “আমাকে মুগ্ধ করেছিল তাঁর উইকেটের চরিত্র মূল্যায়ন করার ক্ষমতা এবং স্ট্রাইক রোটেশন। এই দুই দিক দেখে আমি তখনই জানতাম যে আগামী দিনে রুট একজন বড় ক্রিকেটার হতে চলেছেন।”
এদিকে শুধু রুটকেই নয়, পাশাপাশি সদ্য অবসর নেওয়া চেতেশ্বর পূজারাকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন শচীন। পূজারা সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, তোমাকে ৩ নম্বরে ব্যাট করতে দেখাটা সব সময়ই আশ্বস্ত করত। তুমি যখনই খেলেছ, তখনই শান্ত, সাহস এবং টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি তোমার গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন ঘটেছে। চাপের মুখে বার বার তোমার দৃঢ় কৌশল, ধৈর্য এবং সংযম দলের জন্য একটি স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”