গ্রেটার নয়ডায় পণ প্রথার বলি নিক্কি ভাটি। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই পণপ্রথাজনিত কারণে আরও এক নৃশংস নির্যাতনের ঘটনা সামনে এল। ঘটনাস্থল আমরোহা জেলার নরনাগপুর গ্রাম। চাহিদা মতো পণ দিতে না পারায় এখানেও গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ। গুরুতর আহত ওই গৃহবধূ বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনার পরেই ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির সকলেই পালিয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ওই গৃহবধূর স্বামী যিনি পুলিশ কনস্টেবল। পুলিশ ওই অভিযুক্ত কনস্টেবল এবং তার বাড়ির সব সদস্যের বিরুদ্ধেই একটি অভিযোগ দায়ের করে ঘটনার তদন্ত করছে।
অগ্নিদগ্ধ ওই গৃহবধূর নাম পারুল। যিনি একজন নার্স। সঙ্কটজনক অবস্থায় পারুল বর্তমানে দিল্লির এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিস জানিয়েছে, পারুলের স্বামীর দেবেন্দ্র রাজ্য পুলিসের কনস্টেবল পদে কর্মরত। সম্প্রতি তাঁকে রামপুর থেকে বরেলিতে ট্রান্সফার করা হয়। সে কারণে ছুটিতে বাড়িতেই ছিলেন দেবেন্দ্র। পারুলের বাপের বাড়ি থেকে পণ হিসেবে টাকা আনার জন্য রীতিমতো চাপ দিতেন দেবেন্দ্র ও তাঁর পরিবার। অভিযোগ, সেই টাকা না পেয়ে মঙ্গলবার রাতে পারুলের গায়ে আগুন লাগায় দেবেন্দ্র। এই ঘটনায় পারুলের ভাই তার জামাইবাবু দেবেন্দ্র-সহ বাড়ির ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিস অভিযুক্তদের সকলের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে। তবে অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পারুলের মা অনিতা জানিয়েছেন, মেয়ের উপর যে নিয়মিত অত্যাচার হতো সেটা প্রতিবেশীরা তাঁদের আগেই জানিয়েছিলন। তিনি যদি মঙ্গলবার মেয়েকে নিয়ে চলে আসতেন তবে এত বড় দুর্ঘটনা হয়তো ঘটত না।
প্রায় ১৩ বছর আগে দেবেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পারুলের। তাঁদের দুই যমজ সন্তান আছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই দিল্লি সংলগ্ন গ্রেটার নয়ডায় নিক্কি ভাটি নামে এক তরুণীকে ব্যাপক মারধর করে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছিল তার স্বামী বিপিন। চাহিদা মতো পণ না পাওয়ার কারণেই নিক্কিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
.