আরও একবার ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্রথমবার চামড়ার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০০৬ সাল নাগাদ। যখন তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম উদীয়মান তারকা। সেই সময় কপালের থেকে বেশ কিছুটা অংশ কেটে বাদ দিতে হয় তাঁর।
এবার ফের ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ক্লার্কের নাক থেকে বেশ কিছুটা অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে যা জানিয়েছেন তিনি নিজেই। সেই সঙ্গে অন্যদের স্কিন ক্যানসারের বিষয়ে সতর্ক করে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর বার্তাও দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১১৫ টি টেস্ট খেলা প্রাক্তন অলরাউন্ডার তথা অধিনায়ক।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে ক্লার্ক লিখেছে, “ত্বকের ক্যানসার বাস্তব। বিশেষতঃ অস্ট্রেলিয়ায়। আজ আমার নাক থেকে আরেকটি ক্ষত কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।” এরই সঙ্গে জুড়ে দেন, “আপনাদের অনুরোধ করছি, নিয়মিত ত্বকের পরীক্ষা করান। প্রতিরোধ সর্বদাই চিকিৎসার চেয়ে ভালো। বার বার চেক আপ আর প্রথমেই ধরা পড়াটা বাঁচিয়ে দিয়েছে আমাকে। ডঃ বিশ সোলিমানকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি শুরুতেই রোগটা ধরে ফেলেছিলেন।”
ত্বকের ক্যানসারের মূল কারণ অস্বাভাবিক ত্বক কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি। যা মূলতঃ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির (UV Rays) প্রভাবেই হয়। সারা বিশ্বে ত্বকের ক্যানসারের হার সবচেয়ে বেশি অস্ট্রেলিয়াতেই। কারণ, ভৌগোলিকভাবে দেশটির অবস্থান বিষুবরেখার কাছাকাছি যেখানে অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণের হার অত্যন্ত বেশি। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগই সাদা চামড়ার মানুষ। ফলে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সে দেশে ৭০ বছর বয়সের মধ্যে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ২ জনের ত্বকের ক্যানসার ধরা পড়ে।