পহেলগাম জঙ্গি হানার পর ‘ অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। এই অভিযানে বড় ধাক্কা খেয়েছে জইশ, লস্কর-ই-তইবা এবং হিজবুল মুজাহিদিন। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই সদর দপ্তর, প্রশিক্ষণ শিবির এবং লঞ্চ প্যাড পুনর্নির্মাণের জন্য সক্রিয়ভাবে তহবিল সংগ্রহে নেমেছে তারা।এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে এসেছে নতুন তথ্য।
ভারতের গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI) জইশ-ই-মহম্মদ (JeM)-এর প্রযুক্তিগত ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
২০০১ সালের সংসদ হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা চালিয়েছিল এই জইশ-ই-মহম্মদ। জানা যাচ্ছে যে সংগঠন এতদিন একে–৪৭ রাইফেল, মর্টার ও রকেট লঞ্চারের উপর নির্ভর করত, তারা এখন কোয়াডকপ্টার, ড্রোন ও ডিজিটাল যুদ্ধ প্রযুক্তি সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এতে সাহায্য করছে পাক ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স।
জইশের মোট তহবিলের প্রায় ৫০ শতাংশই অস্ত্র কেনার কাজে খরচ হয়। জইশের সদস্যদের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কিছু অংশ সরাসরি প্রশিক্ষণ দেবে, আর আইএসআই নিশ্চিত করবে যাতে কালোবাজারের মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহের চ্যানেলগুলো খোলা থাকে।
ইতিমধ্যে ‘ অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে বড় ধাক্কা খেয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ। এতে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের কয়েকজন আত্মীয় নিহত হওয়ার খবরও মিলেছে।
Leave a comment
Leave a comment