বিশ্বরেকর্ডের হ্যাটট্রিক বঙ্গতনয়ার। মঙ্গলবার আহমেদাবাদে ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা জিতল হাওড়ার ১৭ বছরের মেয়ে কোয়েল বর। যার বাবা পেশায় একজন মুরগির মাংস বিক্রেতা। একটি নয়, মোট দুটি সোনা নিজের ঝুলিতে পুরে গোটা বাংলার নয়নের মনি এখন কোয়েল। তবে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যুব ভারোত্তোলনের ৫৩ কেজি বিভাগে এর আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল ১৮৮ কেজি। সেই রেকর্ড ভেঙে মঙ্গলবার বাংলার মেয়ে কোয়েল তোলে মোট ১৯২ কেজি। এ ছাড়া ক্লিন এন্ড জার্ক বিভাগে সে তোলে ১০৭ কেজি। এটিও বিশ্বরেকর্ড। এর আগে এই বিভাগে ১০৫ কেজি। পাশাপাশি স্ন্যাচ বিভাগেও ৮৫ কেজি ওজন তুলে তৃতীয় বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলে কোয়েল। সব মিলিয়ে সোনাও জিতে নেয় সে।
অন্যদিকে ইউথ ছাড়াও জুনিয়র বিভাগেও সোনা জিতেছে হাওড়ার মাংস বিক্রেতার মেয়ে। সব মিলিয়ে তিনটি বিশ্বরেকর্ড এবং দুটি সোনা। তবে এর পরেও কার্যত নির্বিকার বঙ্গতনয়া। তাঁর কথায়, বিশ্বরেকর্ড করাই লক্ষ্য ছিল আমার। অনুশীলনের সময় ১০৭ থেকে ১০৮ কেজি ওজন আমি নিয়মিত তুলেছি। তাই বিশ্বরেকর্ডের কাছাকাছিই ছিলাম। রেকর্ড হতই। আমি বরং ১০৯ কেজি তুলতে পারতাম। কিন্তু অল্পের জন্য পারলাম না সেটা।”
ঘরের মেয়ের সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা বাংলা। এ দিকে এরই মধ্যে সমাজ মাধ্যমে কোয়েলকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “বাংলার ঘরের মেয়ে, হাওড়ার বাসিন্দা আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ডের হ্যাটট্রিক করে জোড়া সোনা জিতে বাংলাকে গর্বিত করেছে। আমি ওকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালবাসা জানাই।”
তিনি আরও লিখেছেন, “আগামী দিনে কোয়েল আরও ভাল খেলবে, অলিম্পিক্সে পদক জিতে বাংলার মুখ আরও উজ্জ্বল করবে, এই প্রত্যাশাই করি আমি। ও যে কোনও দরকারে রাজ্য সরকার ওর পাশে থাকবে।”