বিশ্বকাপ বাকি নেই এক বছরও। এই সময় আরও একবার জ্বলে উঠলেন লিওনেল মেসি। ডান পায়ের হাঁটুতে চোটের কারণে দুটি ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন লিও। ফিরে এসে আবারও নিজের বাঁ পায়ের জাদু ছড়িয়ে দিলেন মাঠে। তার সুবাদেই ঘরের মাঠে বুধবার অরল্যান্ডো সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আন্তঃসীমান্ত প্রতিযোগিতা লিগস কাপের ফাইনালে চলে গেল ইন্টার মায়ামি।
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে মেসি করেছেন মোট দুটি গোল। যদিও এদিন প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ দলই। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোল করে গ্যালারিতে উপস্থিত মায়ামি সমর্থকদের কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন অরল্যান্ডোর ক্রোট তারকা মার্কো পাসালিচ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ৭৪ মিনিট থেকেই খেলা পুরো ঘুরে যায় মেসিদের দিকে। ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কাতারে, আর্জেন্টিনাকে তৃতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক।
এরপর ম্যাচের ৮৮ মিনিটে আরও একটি গোল করেন তিনি। এবার জর্দি আলবা’র সঙ্গে দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় অরল্যান্ডোর জালে বল জড়িয়ে দেন মেসি। ম্যাচে এগিয়ে যায় ইন্টার মায়ামি। এরপর ইনজুরি টাইমে দলের হয়ে ব্যবধান বৃদ্ধি করেন তেলাসকো সেগোভিয়া। এদিকে ইন্টার মায়ামি ছাড়াও লিগস কাপের ফাইনালে পৌঁছেছে সিয়াটল সাউন্ডার্স। ফাইনালে ওঠার সুবাদে দুটি দলই আগামী ২০২৬ কনকাকফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত ২০২৩ সালে লিগস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মায়ামি। সে বছরই দলে যোগ দেন এম এল টেন। তবে আজকের মেসি যেন আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ইন্টারের কোচ জাভিয়ের মাসচেরানো লাল কার্ড দেখায় স্ট্যান্ডে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কোচ জাভিয়ের মোরালেস। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “লিওকে নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ভাষা হারিয়ে ফেলি আমরা।” অন্যদিকে মেসি স্বয়ং স্বীকার করেছেন যে চোট কাটিয়ে ফেরার পর এই ম্যাচ খেলতে নেমে কিছুটা হলেও ভয়ে ছিলেন তিনি।
ম্যাচ শেষে লিও বলেন, “আমি এই ম্যাচে নামার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কারণ আমি জানতাম এই খেলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। খুব কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছে আমাদের। চলতি বছরে যাদের দুবার মুখোমুখি হয়ে দুবারই হারতে হয়েছে।” এরপরই সঙ্গে যোগ করেছেন, “সত্যি বলতে, প্রথমার্ধে আমি একটু ভয়ই পেয়েছিলাম।”