জনসংখ্যা সম্পদ না আপদ, বহু আলোচিত এই বিতর্কের মধ্যেই এবার প্রতিটি ভারতীয় দম্পতির অন্তত তিনটি সন্তানের প্রয়োজন আছে বলে জানিয়ে দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বৃহস্পতিবার সঙ্ঘের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি তিন সন্তানের বার্তা দেন। তিনি বলেন, “জনসংখ্যা যেমন আশীর্বাদ হতে পারে, তেমনি বোঝাও হতে পারে। তাই অতিরিক্ত সন্তান নয়, প্রতি পরিবারে তিন সন্তান হওয়া উচিত যাতে সঠিকভাবে তাদের মানুষ করা যায়।”
চিকিৎসা বিষয়ক বিখ্যাত পত্রিকা ল্যানসেটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি কোনও দেশে জন্মহার ২.১-এর নীচে নেমে যায় তাহলে সে দেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। এদিন অনেকটা সেই তথ্য টেনেই ভাগবতের দাবি, বিশেষজ্ঞরা বলেন যে কোনও সম্প্রদায়ের জন্মহার যদি তিনের নীচে নেমে যায়, তবে তারা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
জনসংখ্যা নিয়ে নির্দিষ্ট যুক্তি টেনে মোহন ভাগবত এদিন বলেন যে দেশের নিয়ন্ত্রণ নীতি অনুযায়ী গড় জন্মহার সংখ্যায় ২.১ হলেও বাস্তবে তা সম্ভব নয়। অর্থাৎ গণিতে এই হিসেব থাকলেও সন্তান জন্মদানে ২.১ মানে আসলে তা তিনের ঘরেই যায়। তাঁর মতে, সঠিক বয়সে বিয়ে এবং তিন সন্তান থাকলে বাবা-মা ও সন্তানরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে। তিন ভাইবোন থাকলে শিশুরা ‘ইগো ম্যানেজমেন্ট’ শেখে এবং ভবিষ্যতে পারিবারিক অশান্তি কম হয়।
এই প্রসঙ্গে তিনি সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই জন্মহার কমছে বলে জানান। তবে হিন্দুদের জন্মহার আগে থেকেই কম থাকায় বিষয়টি সেখানে বেশি চোখে পড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি ধর্মান্তর ও অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গও তোলেন। তাঁর মতে অবৈধ অনুপ্রবেশও জনসংখ্যা ভারসাম্যহীনতার একটি কারণ। ভাগবতের স্পষ্ট বার্তা, “ধর্মান্তর ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ নয়। পাশাপাশি খ্রিস্টান ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীরাও ধর্মান্তরকে ভাল বলেন না, তাই এটি হওয়া উচিত নয়।”