দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। কেনাকাটা করতে মহানগরমুখী ভিড় বাড়ছে দিনকে দিন। এমনই আবহে কলকাতা পুরসভা থেকে এসেছে মন ভাল করা খবর। দীর্ঘ চার মাস বন্ধ থাকার পর খুলতে চলেছে শহরের ছাদ রেস্তোরাঁগুলি। অগ্নি নির্বাপক গাইডলাইন (Standard Operating Procedure তথা SOP) মেনে চললেই খুলে যাবে বন্ধ থাকা ছাদ রেস্তোরাঁ।
কেএসসি কর্তাদের সাফ বার্তা ছাদ রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে SOP-এর গাইডলাইন মেনে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। অডিট করাতে হবে ৩ মাস পর। নতুন নিয়মে ছাদ রেস্তোরাঁর খোলা জায়গা ও সিঁড়ি পরিষ্কার রাখা যেমন বাধ্যতামূলক তেমনি দাহ্য পদার্থ সহ খোলা আগুনে রান্নাও নিষিদ্ধ। পুর এলাকায় ছাদের বিক্রি এবং নতুন ছাদে রেস্তোরাঁ খোলার অনুমোদন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, অনুমোদিত নয় এমন রেস্তোরাঁগুলিও বন্ধ থাকবে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্সও গঠিত হয়েছে এই নিয়ে। ছাদ রেস্তোরাঁর টেরেসে কমপক্ষে অর্ধেক স্থান খোলা রাখতে হবে। সেখানে কোনও নির্মাণ বা আসবাবপত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য পৃথক পথ থাকা উচিত এবং সিঁড়িগুলিও ফাঁকা রাখতে হবে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে ভবনের বাসিন্দারা সেখানে পৌঁছতে পারেন। রেস্তোরাঁর ছাদ তৈরিতে কোনও দাহ্য পদার্থের সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে না। খোলা আগুনে রান্না বা গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করাও যাবে না ছাদে।
বাণিজ্যিক লাভের জন্য ছাদের স্বত্ত্ব বিক্রি ঘিরে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন টাস্কফোর্স কমিটির চেয়ারম্যান তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে স্টিফেন কোর্ট অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর মর্মান্তিক স্মৃতিও উসকে দিয়েছেন তিনি। স্টিফেন কোর্টে ছাদের দরজা তালাবন্ধ থাকায় সিঁড়িতেই দগ্ধে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজনের। রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও নতুন ভবন, বাণিজ্যিক বা আবাসিক ভবনের ছাদে রেস্তোরাঁর জন্য নতুন কোনও অনুমোদন আর দেওয়া হবে না। কেএমসি ভবিষ্যতে টেরেস বিক্রি নিষিদ্ধ করবে। কেএমসির নতুন নিয়ম অনুসারে, একজন প্রোমোটার টেরেস বিক্রি করতে বা কাউকে অনুমতি দিতে পারে না।
