রজার বিনি আর বিসিসিআইয়ের সভাপতি নন। বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা। বোর্ডের আসন্ন নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করতে হবে তাঁকে। সম্প্রতি এমন খবরই সামনে এনেছে একটি সূত্র। দাবি, নতুন ক্রীড়া আইন পাস হয়ে গেলেও তা কার্যকর হতে এখনও বেশ কয়েক মাস দেরি। ফলে বর্তমান লোধা আইনেই সরে যেতে হয়েছে বিনিকে।
জানা যাচ্ছে, নয়া ক্রীড়া আইন প্রণয়নে বিলম্ব হওয়ার কারণে লোধা আইন অনুসারে সেপ্টেম্বরেই বার্ষিক সাধারণ সভা এবং নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। তাই নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজীব শুক্লাকে। যিনি গত ২০১৫ সালে আইপিএলের চেয়ারম্যান পদে পুনর্নিযুক্ত হওয়ার পর ২০২০ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ডের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, বুধবার অনুষ্ঠিত বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সভায় বিনিকে সরিয়ে শুক্লাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, নয়া ক্রীড়া আইন কার্যকর হওয়ার আগে বর্তমানে বিসিসিআই পরিচালিত হয় লোধা আইন অনুসারে। এ দিকে নয়া ক্রীড়া আইনে সর্বোচ্চ ৭৫ বছর বয়সের প্রার্থীকে বোর্ডের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও লোধা আইন অনুসারে, এই বয়সসীমা ৭০ বছর। সে কারণেই ৭০ বছর বয়সী বিনিকে সরে যেতে হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, পদাধিকারীরা এখন মোট ৯ বছর অথবা টানা ৬ বছর পদে থাকার পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে যে, যদি বোর্ড সভাপতি রজার বিনিকে পদত্যাগ করতে হয়, তা হলে রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। যদিও পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, বুধবার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে মূল বিষয় ছিল টিম ইন্ডিয়ার নতুন অফিসিয়াল স্পনসর নিয়ে আলোচনা করা।
সারা দেশে অনলাইন বেটিং অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে বিসিসিআইয়ের প্রধান স্পনসরের ভূমিকা থেকে সরে যেতে হয়েছে Dream11 -কে। এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ শুরুর আগে নতুন স্পনসর খুঁজে পাওয়াটাই বোর্ডের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ড শুধুমাত্র আসন্ন এশিয়া কাপ মাথায় রেখে স্বল্পমেয়াদি স্পনসরের কথা ভাবছে না। বরং তাদের লক্ষ্য আগামী ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত একজন স্পনসর নিশ্চিত করা। বোর্ডের তরফে জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন এমনটাই।