বিহারের দ্বারভাঙায় রাহুল গান্ধীর ভোটের অধিকার যাত্রা থেকে এক কংগ্রেস সমর্থককে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর প্রয়াত মাকে নিয়ে কটূক্তি করতে দেখা গিয়েছিল। ওই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই রে রে করে আসরে নেমে পড়ে বিজেপি। বিজেপির একাধিক ছোট বড় নেতা কংগ্রেসের সমালোচনায় মুখর হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন, রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে পাল্টা মুখ খুলেছে কংগ্রেস। দলের নেতা পবন খেরা বলেছেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বিজেপির চক্রান্ত। বিজেপি তাদের নিজস্ব লোককে রাহুল গান্ধীর মিছিলে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। পরিকল্পনামতোই ওই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তি করে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি এখন রাজনীতি করছে। পবন আরও বলেন, ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসা করে দেখা হোক সে কোথা থেকে এসেছে। সে কেন এ ধরনের মন্তব্য করেছে। কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, গোটা দেশ সবকিছুই দেখছে। বিজেপি যে দেশজুড়ে গুন্ডাবাজি চালাচ্ছে এই ঘটনা তার প্রমাণ। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় জড়িত মহম্মদ রিজভি ওরফে রাজাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পবন খেরার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা নলীন কোহলি বলেছেন, কংগ্রেস এই ঘটনার নিন্দা না করে এর পিছনে বিজেপির চক্রান্ত দেখছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেস এ ধরনের বক্তব্যকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। রাজনীতির অধোগতির জন্য আক্ষেপ করেছেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। বসপা নেত্রী বলেছেন, রাজনীতি থেকে ক্রমশই সম্মান, মূল্যবোধ ও শ্রদ্ধা বিষয়টি হারিয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই যত্রতত্র সকলে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করছেন। এ ধরনের ঘটনা দেশের ভাবমূর্তির পক্ষে ক্ষতিকর।
অন্যদিকে রাহুল গান্ধী এক্স পোস্টে লিখেছেন, মিথ্যা এবং হিংসা কখনই সত্য ও অহিংসার আগে যেতে পারে না। তিনি সত্যের পথে চলবেন সংবিধানের সম্মান রক্ষায় চেষ্টা চালাবেন।
Leave a comment
Leave a comment