প্রত্যাশা মতোই কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের সুপার সিক্সে উঠল ইস্টবেঙ্গল এফসি। শুক্রবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে, বিনো জর্জের ফুটবলাররা, কালীঘাট মিলন সংঘকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে। লাল-হলুদ ব্রিগেডের গোলদাতা ডেভিড লাললানসাঙ্গা, গুইতে পেকা ও শ্যামল বেসরা। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমিয়েছেন কালীঘাটের দেবদত্ত।
এদিনের জয়ের সুবাদে এ গ্রুপের ১ নম্বর দল হিসেবে সুপার সিক্সে পৌঁছেছে ময়দানের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব দলটি। অন্যদিকে গ্রুপ বি-তে থাকা ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব, ইউনাইটেড কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবার এফসি পৌঁছেছে সুপার সিক্স পর্বে।
সিএফএল প্রিমিয়ারের গ্রুপ এ তে ইস্টবেঙ্গল ১১ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছে ২৩ পয়েন্ট। মশাল বাহিনী ৭ টি ম্যাচ জিতেছে, দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। আর হেরেছে ২ টি ম্যাচ। এই বিভাগে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুলিশ এসি। ১১ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট।
অন্যদিকে তৃতীয় স্থান পাওয়ার লড়াইতে এখন জোর টক্কর মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, সুরুচি সংঘ এবং কলকাতা কাস্টমসের মধ্যে। সুরুচি সংঘ ও কাস্টমস ১০ টি করে ম্যাচ খেলে ১৯ পয়েন্ট করে পেয়েছে। ফলে দুই দল শেষ ম্যাচে জিতলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ২২ -এ।
অন্যদিকে, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট শেষ দুই ম্যাচ জিতলে ২০ পয়েন্টে পৌঁছবে। আর তারপর তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে মেসারার্সের বিরুদ্ধে না খেলা ম্যাচের সিদ্ধান্তের দিকে। ডুরান্ড কাপের জন্য লিগের ওই ম্যাচে দল নামায়নি মোহনবাগান।
শুক্রবার সিএফএল প্রিমিয়ারের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলতে নেমে কোনও ঝুঁকি নেয়নি ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই একঝাঁক সিনিয়রকে প্রথম একাদশে রেখেই দল গড়েছেন লাল হলুদ কোচ বিনো জর্জ। গোলে দেবজিৎ মজুমদার, ডিফেন্ডার প্রভাত লাকড়া, মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী, উইঙ্গার পি ভি বিষ্ণু, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্ট্রাইকার ডেভিড লাললানসাঙ্গার সঙ্গে ছিলেন ডিফেন্ডার জোশেফ জাস্টিন, মিডফিল্ডার তন্ময় দাস, শ্যামল বেসরা, ডিফেন্ডার সোনম সেওয়াং লোখাম ও স্ট্রাইকার আমন সি কে।
সিনিয়র-জুনিয়র কম্বিনেশনে মাঠে নেমে শুরু থেকেই বিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বল দখলের লড়াইয়েও মশালবাহিনী টেক্কা দিয়ে এগিয়ে ছিল। তবে প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় ২৫ মিনিট। সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে গোল তুলে নেন ডেভিড লালহানসাঙ্গা। বিরতি ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ছিল ডেভিডের করা ওই গোলেই।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ৫৩ মিনিটে গুইতে পেকার গোল ম্যাচের ফল ২-০ করেছে। ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান কালীঘাট এমএস-এর পরিবর্ত হিসেবে নামা দেবদত্ত। ৮৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন শ্যামল বেসরা। দূরপাল্লার শটে বিপক্ষের গোলরক্ষকে পরাস্ত করেছেন। শেষমেষ ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে ইস্টবেঙ্গল।