উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ ও চামোলি জেলায় বৃহস্পতিবার রাতে মেঘভাঙা বৃষ্টি। হঠাৎ নামা এই দুর্যোগে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বহু পরিবার। একাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, মেঘভাঙার পর ধ্বংসস্তূপ ও কাদামাটির স্রোতে বহু এলাকা বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে অনেকে আটকে পড়েছেন। তিনি আরও জানান, ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ জোরকদমে চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সপ্তাহেও চামোলি জেলায় মেঘভাঙার ঘটনা ঘটে। সেইসময় ধ্বংসস্তূপে ঢেকে গিয়েছিল থারালি বাজার এলাকা এবং থারালি তহসিল কমপ্লেক্স। বহু আবাসিক এলাকা, যার মধ্যে সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের সরকারি বাসভবন, দোকানপাট ও গাড়ি পর্যন্ত কাদামাটির নিচে চাপা পড়েছিল।
এদিকে, চাম্বা জেলায় বিশেষভাবে উদ্ধারকাজ চলছে। কয়েকদিন আগে এখানেই মানিমহেশ যাত্রায় আসা প্রায় ৭,০০০ থেকে ৮,০০০ তীর্থযাত্রী প্রবল বর্ষণে আটকে পড়েছিলেন। শুধু উত্তরাখণ্ড নয়, জম্মু-কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশেও টানা বৃষ্টির ফলে মেঘভাঙা, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে।ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে ৩০শে আগস্ট পর্যন্ত জম্মু অঞ্চলের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার।
অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুটি জাতীয় সড়ক সহ ৫২৪টি সড়ক, ১,২৩০টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার ও ৪১৬টি জল সরবরাহ প্রকল্প অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি।
এরই মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে, তারা বড় আকারের মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ত্রাণ অভিযান শুরু করেছে। যাতে জম্মু, হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের দুর্গত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে সরিয়ে আনা, চিকিৎসা সহায়তা এবং খাদ্য সরবরাহ করা যায়, তার জন্য ১২টি হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হচ্ছে।