দলের নেতা রাহুল গান্ধী ভোট চুরির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেস দেশজুড়ে বিজেপি ও আরএসএসের আদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। লড়াই করছে মনুবাদের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে কংগ্রেস সংবিধান ও গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্যও লড়াই চালাচ্ছে। সে কারণে কংগ্রেসের উপর বিজেপির এত ক্ষোভ। রাজনীতির ময়দানে এঁটে উঠতে না পেরে তারা কংগ্রেসের অফিসে অফিসে হামলা চালাচ্ছে। সোমবার এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।
উল্লেখ্য, দুদিন আগে বিহারের দ্বারভাঙায় রাহুল গান্ধীর ভোটের অধিকারযাত্রা কর্মসূচি থেকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর মাকে কটুক্তি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বিহার ও কলকাতায় কংগ্রেস সদর দফতরে হামলা চালায় বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেসের।
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে শুভঙ্কর বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বিজেপি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরে হামলাকারীরা সকলেই বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের সদস্য। এখানে বাঙালি ও অবাঙালি দ্বন্দ্বের কোনও ঘটনা ঘটেনি। কারণ কংগ্রেস অফিস কোনও নির্দিষ্ট জাতপাত বা সম্প্রদায়ের মানুষের জায়গা নয়। এখানে সকলেই স্বাগত।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, বাংলা ও বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে তাঁরা পথে নেমেছেন। কংগ্রেস সব ভাষা ও ধর্মের প্রতি সমানরকম শ্রদ্ধাশীল। কোনও ভাষার প্রতি বিদ্বেষ বা ঘৃণা হল মনুবাদী সংস্কৃতির অঙ্গ। যা লালন-পালন করে বিজেপি। কংগ্রেস এই ধরনের রাজনীতির তীব্র বিরোধী। দেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য হল বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। সেই বহুত্ববাদী ধারণাকেই কংগ্রেস মেনে চলে। কংগ্রেস সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কারণ কংগ্রেস জানে, একমাত্র সংবিধানই পারে সাধারণ মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত করতে। তাই সংবিধানকে রক্ষা করার তাগিদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা পথে নেমেছেন।
