বিভিন্ন দেশের উপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে বিপুল পরিমাণ শুল্ক আরোপ করেছেন তাকে বেআইনি বলল সে দেশের আদালত। তবে আদালতের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ট্রাম্প। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ আদালতের মন্তব্য নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও আদালত এখনও ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কের উপর কোনও স্থগিতাদেশ চাপায়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আদালতের এই মন্তব্যে নিজের দেশেই ধাক্কা খেয়েছেন ট্রাম্প।
যদিও শুল্ক আরোপের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য ট্রাম্পকে সময় দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, আপাতত অক্টোবর পর্যন্ত এই চড়া শুল্ক বজায় থাকছে। তারপর এ বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আদালতের এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমাদের চাপানো অতিরিক্ত শুল্ক অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে আদালত যে মন্তব্য করেছে তা ঠিক না। ওরাও জানে শেষ পর্যন্ত আমেরিকা জয়ী হবে। আমরা যদি ওই শুল্ক তুলে নিই তবে আমাদের দেশ এক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। আমরা আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ব। কিন্তু আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে।”
উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত বজায় রাখায় ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন বিখ্যাত মার্কিন অর্থনীতিবিদ রিচার্ড উলফ। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারত এখন বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। কিন্তু আমেরিকা ভারতকে সবক শেখাতে চাইছে। এ যেন ইঁদুর হয়ে এক হাতিকে ধাক্কা মারার চেষ্টা। এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, এর ফলে আমেরিকারই ক্ষতি হবে।
তবে সমালোচকদের মন্তব্যকে পাত্তা দিচ্ছেন না ট্রাম্প। আদালতে মুখ পুড়লেও নিজের অবস্থান থেকে সরতে রাজি নন তিনি। ট্রাম্প স্পষ্ট বলেছেন, এখনই শুল্ক কমানোর বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করার মতো কোনও পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি। এরই মধ্যে রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। মার্কিন বাণিজ্যিক মহল মনে করছে, রাশিয়া, ভারত ও চিন এক জায়গায় এলে আগামী দিনে বিশ্বে কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারে আমেরিকা।