শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য চূড়ান্ত দরপত্র জমা দিল ভারত এবং গুজরাত সরকার। শুক্রবার লন্ডনে কমনওয়েলথ স্পোর্টসের দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে যাবতীয় কাগজপত্র। ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩১ আগস্ট। তবে ভারতীয় প্রতিনিধিদল দেশের জাতীয় ক্রীড়াদিবসের দিনেই তা জমা করেছে।
লন্ডনে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন গুজরাত সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রী হর্ষ সাংভি। তিনি জানিয়েছেন, আহমেদাবাদ শহরকে কমনওয়েলথ গেমসের শতবর্ষ সংস্করণের আয়োজক শহর হিসেবে দরপত্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস ভারত এবং কমনওয়েলথভুক্ত সব দেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে তিনি দাবি করেছেন। বলেন, শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমস, ক্রীড়া উৎকর্ষতা যেমন বাড়বে, তেমনি পারস্পরিক ঐক্য এবং মূল্যবোধেরও বিকাশ ঘটাবে।
জানানো হয়েছে, ভারতের দরপত্র অনুমোদিত হলে আয়োজক দেশ, তাদের ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ নীতিই অনুসরণ করবে। কারণ তাদের বিশ্বাস ”অতিথি দেব ভব।” কমনওয়েলথের জন্য আহমেদাবাদ উপযুক্ত কি না তা প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখতে কিছুদিন আগেই ভারতে এসেছিল কমনওয়েলথ স্পোর্টের একটি দল। ড্যারেন হলের নেতৃত্বে সেই দলটি আহমেদাবাদ শহর যেমন পরিদর্শন করেছে, তেমনি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বৈঠক করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে। বৈঠকে হাজির ছিলেন গুজরাত সরকারের প্রতিনিধিরাও। ভারতের চূড়ান্ত দরপত্র জমা পড়ায় এবার কমনওয়েলথ স্পোর্টসের একটি বড় প্রতিনিধিদল যাবতীয় ক্রীড়া পরিকাঠামো খুঁটিয়ে দেখবে।
ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং কমনওয়েলথ গেমস অ্যাসোসিয়েশন (ইন্ডিয়া)-এর সভাপতি ড. পিটি ঊষা বলেছেন “এই দরপত্র সমগ্র জাতির আকাঙ্ক্ষাকেও তুলে ধরছে। সংগঠনের দায়িত্ব পেলে আমরা শুধু ক্রীড়া দক্ষতাই তুলে ধরব না, আমাদের ক্রীড়া সংস্কৃতিকেও অন্যদের সামনে মেলে ধরার সুযোগ পাব। বন্ধুত্ব, শ্রদ্ধা, মূল্যবোধের আদান-প্রদানে নতুন প্রজন্মও খেলাধুলোর মাধ্যমে তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে অনুপ্রাণিত হবে।
এদিকে, শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক শহর হিসেবে আহমেদাবাদের নাম চূড়ান্ত হওয়া একরকম নিশ্চিত। কারণ বিপুল আর্থিক খরচের বোঝা বহন করতে পারবে না বলে আগেই সরে দাঁড়িয়েছে কানাডা। তাই ভারতের চূড়ান্ত দরপত্র একদিক থেকে চাপ কমিয়েছে কমনওয়েলথ স্পোর্টস কমিটির কর্তাদের।