শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখতে প্রতিদিন একজন মানুষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খেতে হবে। একজন মানুষের প্রতিদিন কী পরিমাণ প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খাওয়া উচিত সেটা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপের উপর। নিজের ইচ্ছামত না খেয়ে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়েই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা তৈরি করা উচিত। কারণ বয়স ও লিঙ্গ ভেদে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তার হেরফের হয়। আবার যাঁরা অতি সক্রিয় বা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন বা বেশি কাজ করেন তাঁদের জন্য প্রোটিনের পরিমাণ কিছুটা বেশি হওয়া দরকার।
অসুস্থতা বা শরীর দুর্বল হলেও প্রোটিন বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
প্রশ্ন হল, প্রোটিন মানুষের শরীরের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
মনে রাখতে হবে, শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য প্রোটিন এক অপরিহার্য উপাদান। পেশি, হাড়, চুল ও নখের গঠনে প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরে শক্তি উৎপাদনের মূল উপাদান প্রোটিন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন একজন ব্যক্তির শরীরের যা ওজন প্রতিদিন ঠিক ততগ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। এক ব্যক্তির বয়স যদি ৬০ বছর হয় তবে প্রতিদিন তাঁকে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে। তবে পুষ্টিবিদরা সকলেই পরিমিত প্রোটিন গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়াও শরীরের পক্ষে আদৌ ভালো নয়।
প্রশ্ন হল, প্রোটিনের মূল উৎস কি শুধুই মাছ, মাংস? পুষ্টিবিদরা বলছেন, একজন মানুষ ডাল, দুধ, পনির, ছানা, বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য যেমন বাদাম ও মাছ, মাংস, ডিম থেকে এই প্রোটিন সংগ্রহ করতে পারেন।
পুষ্টিবিদরা আরও জানিয়েছেন, অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ কখনওই ঠিক নয় কারণ, এই অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের পেশিতে সঞ্চিত হয় না। পরিবর্তে এই প্রোটিন হয় গ্লুকোজ বা চর্বি জাতীয় জিনিসে পরিবর্তিত হয়। যা শরীরের পক্ষে খারাপ। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের পক্ষে মঙ্গলজনক তো নয়ই বরং তা ক্ষতিকর।
তবে প্রোটিন কতটা খাবেন সেই ব্যাপারে পুষ্টিবিদ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।