সম্প্রতি সংসদে অনলাইন গেমিং বিল পাস হওয়ার জেরে সারা দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে অনলাইন বেটিং অ্যাপগুলি। এর ফলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সরশিপ থেকে সরে যেতে হয়েছে ড্রিম ইলেভেনকে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে এশিয়া কাপ শুরুর আগে নতুন স্পনসর খুঁজে পাওয়াই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ বিসিসিআইয়ের জন্য।
গত ২০২৩ সালে বোর্ডের সঙ্গে তিন বছরের জন্য ৩৫৮ কোটি টাকায় চুক্তি করেছিল ড্রিম ইলেভেন। তবে এবার সূত্রের খবর, নতুন অফিসিয়াল স্পনসরের সঙ্গে আরও বড় চুক্তিতে যেতে চাইছে বিসিসিআই। চলতি ২০২৫ থেকে আগামী ২০২৮ পর্যন্ত হবে চুক্তি। আর এই ৩ বছরের জন্য বোর্ড ৪৫০ কোটি টাকা দাবি করতে চলেছে বলে জানিয়েছে উক্ত সূত্র।
কোন সংস্থার সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে শোনা যাচ্ছে, বিসিসিআই প্রতিটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচের জন্য ৩.৫ কোটি টাকা এবং বহুজাতিক প্রতিযোগিতায় প্রতিটি ম্যাচের জন্য ১.৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যা ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গে হওয়া চুক্তির তুলনায় বেশি। তবে তার আগের স্পনসর বাইজু’স -এর কাছ থেকে যা পাওয়া যেত তার চেয়ে কম।
এদিকে এশিয়া কাপ শুরুর আগে ড্রিম ইলেভেনের সরে যাওয়া কিছুটা হলেও বিপদে ফেলে দিয়েছে ভারতীয় বোর্ডকে। এশিয়া কাপের বাকি আর মাত্র ১০ দিন। এই অবস্থায় যদিও শোনা যাচ্ছে, বোর্ড একটি জার্সি স্পনসর খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে হাতে সময় না থাকায় প্রতিযোগিতায় স্পনসরবিহীন জার্সি পরেই টিম ইন্ডিয়াকে নামতে হতে পারে। অর্থাৎ এশিয়া কাপে ভারতের জার্সিতে কোনও অফিসিয়াল স্পনসরের নাম না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
তবে বিষয়টি মাথায় রাখছে বোর্ড। এশিয়া কাপ শেষ হতে না হতেই ঘরের মাঠে শুরু হয়ে যাবে মহিলাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগেই একটা পাকাপাকি ব্যবস্থা করে ফেলতে চাইছে বিসিসিআই। সে কারণেই আগামী ২০২৮ পর্যন্ত ১৪০ টি ম্যাচের জন্য একটি বড় চুক্তির পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা।
