এবছরই ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি। সেকথা স্মরণ করেই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে দুদেশের বন্ধুত্বকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলে দাবি করলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এদিন তিনি বলেন, “বিশ্বের দুই প্রাচীন সভ্যতা, দুই বৃহত্তম জনবহুল দেশ হিসেবে আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব রয়েছে। দুই দেশের মানুষের কল্যাণ, উন্নয়নশীল বিশ্বের সংহতি ও পুনর্জাগরণ এবং মানবসমাজের অগ্রগতির জন্য হাতি আর ড্রাগনের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া দরকার।”
বৈঠকটি প্রায় ৫০ মিনিট স্থায়ী হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে চিন-ভারতের টানাপোড়েনের মধ্যেই এই বৈঠক বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। সাত বছর পর প্রধানমন্ত্রী মোদি চিন সফরে গিয়েছেন। পাশাপাশি গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই প্রথম তাঁর বেজিং যাত্রা। রাশিয়ার কাজানে তাঁদের বৈঠক যে সফল হয়েছিল সেকথা তুলে ধরেন শি জিনপিং। তিনি জানান, “আপনার সঙ্গে আবার দেখা সত্যিই আনন্দের বিষয়, প্রধানমন্ত্রী মোদিজি। কাজানে আমাদের বৈঠক সফল হয়েছিল। এবছর চিন-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি।”
বেজিংয়ে মোদি জানান, কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা ও দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “দুই দেশের ২.৮ বিলিয়ন মানুষের স্বার্থ আমাদের সহযোগিতার সঙ্গে যুক্ত। এই সহযোগিতা মানবজাতির সামগ্রিক মঙ্গলেও সহায়ক হবে।”