কেন হঠাৎ বন্ধু দেশ ভারতের উপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতটা খাপ্পা হয়ে উঠে শুল্কের ভার চাপিয়ে দিলেন তার হিসেব বুঝতে নানা সমীকরণের অঙ্ক কষা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার সামনে এল এক বিস্ফোরক রিপোর্ট। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ১৭ জুনের এক টেলিফোন কলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নে ভারতের সমর্থন চান। ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রশমনে তার ভূমিকা ছিল মুখ্য। কিন্তু মোদি পাল্টা জানান, দুই দেশের মধ্যেই সরাসরি সমাধান হয়েছে এবং এক্ষেত্রে আমেরিকার হস্তক্ষেপের কোনও ভূমিকা নেই। আর এই মতপার্থক্যই দুই নেতার সম্পর্কে ভাঙনের সূত্রপাত ঘটায়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য দিয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, মোদির অনাগ্রহ ও নোবেল প্রসঙ্গে আলোচনায় অস্বীকৃতিই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের একসময়কার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে বড় ফাটল ধরায়। যাদিও হোয়াইট হাউস ওই ফোনালাপের কথা স্বীকার করেনি, ট্রাম্পও সামাজিক মাধ্যমে উল্লেখ করেননি। তবে একথা ঠিক যে, ১০ মে-র পর থেকে ট্রাম্প ৪০ বারেরও বেশি দাবি করেছেন যে তিনি ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত থামিয়েছেন।
তবে প্রকাশ্যে যা এসেছে তা হল ভারত রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনে মস্কোকে ইউক্রেন যুদ্ধে রসদ জোগাচ্ছে এমন অভিযোগে দিল্লির উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু রাশিয়া বিরোধী নীতি নয়, বরং ভারতকে শাস্তি দেওয়ার কৌশল। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের রিচার্ড রসো সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “যদি রাশিয়াকে চাপে ফেলাই আসল উদ্দেশ্য হত, তবে সব ক্রেতার ওপরই সমান চাপ দিত। শুধু ভারতকে নিশানা করা প্রমাণ করে এর অন্য রাজনৈতিক কারণ রয়েছে।” আর সম্ভবত সেই কারণটাই প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের ওই রিপোর্ট।