পথকুকুরদের জন্যই আজ তিনি গোটা দেশের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। এমনটাই দাবি করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ। কেরলের তিরুবনন্তপুরমে ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির এক অনুষ্ঠানে বিচারপতি নাথ বলেন, এতদিন তিনি শুধু আদালতের ছোট্ট পরিসরে আইনি মহলেই পরিচিতি ছিলেন। কিন্তু ২২ অগস্ট পথ কুকুরদের নিয়ে তাঁর রায়ের পর দেশের প্রায় সব পশুপ্রেমীর কাছেই তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন। আমজনতার কাছে তিনি এখন আগের চেয়েও অনেক বেশি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন। এজন্য প্রধান বিচারপতি বিআর গাভইয়ের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি নাথ।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারপতি গাভাই এই মামলার দায়িত্ব তাঁকে দিয়েছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে ।
২২ অগস্ট পথকুকুরদের নিয়ে এক রায় দিয়েছিল বিচারপতি নাথের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।বিচারপতি নাথ আরও বলছেন, ওই রায়ের পর কুকুরপ্রেমীরা তাঁকে নিয়মিত বার্তা পাঠাচ্ছেন। পাশাপাশি পথকুকুররাও তাঁকে আশীর্বাদ করছে বলে বিচারপতি নাথ মনে করেন। উল্লেখ্য, ২২ আগস্ট পথকুকুরদের নিয়ে প্রাথমিক রায় সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিডিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি বিক্রম নাথের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়া এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতা। রায় সংশোধনের পর গোটা দেশের পশুপ্রেমীরাই ওই তিন বিচারপতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে।
সংশোধিত রায়ে বলা হয়, সব পথকুকুরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে পাকাপাকিভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে হবে না। টিকাকরণ ও নির্বীজকরণের পর পথকুকুরদের পুরনো এলাকাতেই ফেরত পাঠাতে হবে। তিন বিচারপতির বেঞ্চ আরও জানিয়েছিল, আক্রমণাত্মক আচরণ করছে বা জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত কুকুরদের আগে টিকা দিতে হবে। পাশাপাশি যত্রতত্র কুকুরদের খাওয়ানোর উপরেও বিধিনিষেধ আরোপ করে বেঞ্চ। পরিবর্তে পথকুকুরদের খাওয়ানোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা তৈরির নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
Leave a comment
Leave a comment