রাস্তার উপরেই নিজের প্রাক্তন লিভ ইন সঙ্গীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল এক অ্যাপ ক্যাবচালক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরু শহরে। মৃতার নাম ভনজাক্ষী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভিট্টলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, প্রায় চার বছর আগে ভিট্টলের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ভনজাক্ষী। কিন্তু ভিট্টল ছিলেন মদ্যপ। ভনজাক্ষীর উপর ব্যাপক অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ। প্রায় প্রতিদিনই মারধর করতেন লিভ ইন সঙ্গীকে। বিরক্ত হয়ে ভনজাক্ষী ভিট্টলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। মারিয়াপ্পা নামে নতুন একজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় ভনজাক্ষীর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে মারিয়াপ্পার সঙ্গে গাড়ি করে মন্দির থেকে ফিরছিলেন ভনজাক্ষী। পিছন থেকে তাঁদের অনুসরণ করছিলেন ভিট্টল। একটি ট্রাফিক সিগন্যালে ভনজাক্ষীর গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়তেই ভিট্টল পেট্রোল ভরা বোতল ছুড়ে দেয় গাড়ির ভিতর। প্রাণ বাঁচাতে গাড়ি থেকে নেমে মারিয়াপ্পা ও গাড়িচালক ছুটতে থাকেন। ভনজাক্ষীও দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ধরে ফেলেন ভিট্টল। এরপর ভনজাক্ষীর গায়ে আরও পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তরুণীর চিৎকারে ছুটে আসে আশপাশের লোকজন। এক পথচারী কাপড় দিয়ে ভনজাক্ষীর শরীরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। ভনজাক্ষীকে বাঁচাতে গিয়ে ওই পথচারীও কিছুটা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
ঘটনার পর ভিট্টল পালিয়ে গেলেও তাকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। নারায়ণ এম নামে এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, সম্পর্কের জটিলতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে পথচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভনজাক্ষীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন তার সাহসিকতারও তারিফ করেছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। ধৃত ভিট্টলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
